পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজার দাবি দুদকের
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৭
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে বাকি যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম। কিন্তু আসামি সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে বাকী যুক্তিতর্কের জন্য তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহেসানুল হক সমাজী সময় চান।
আদালত সময় মঞ্জুর করে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বাকী যুক্তিতর্কের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন। এর আগে, ১৬ আগস্ট অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তাদের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম। তিনি তাদের খালাস চান। পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক থাকায় আইনি লড়াই করতে পারছেন না।
দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম জানান, মামলাটিতে দুদকের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়েছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থণা করছি।
গত ২০ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি, শংখ বেপারী, অবন্তিকা বড়াল, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
এদিন কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা আদালতে হাজির ছিলেন। মামলার অপর ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
জানা যায়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন।
সারাবাংলা/এআই/ইআ