Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনি স্পেস বন্ধ করতেই খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি: আমির খসরু


১৪ মে ২০১৮ ১৭:১৫

।। স্টাফ করেসপনডেন্ট ।।

ঢাকা: সব ধরনের নির্বাচনি স্পেস বন্ধ করার জন্যই নীলনকশা করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ কারণেই আইনি প্রক্রিয়া নয়, নিজেদের মতো করে আন্দোলনের পথ তৈরি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আমির খসরু বলেন, ‘আইনি লড়াই কীসের? নির্বাচনি স্পেস বন্ধ করার জন্যই তো চেয়ারপারসনকে (খালেদা জিয়া) কারাবন্দি করা হয়েছে। এটি একটি নীলনকশা।  সবাই সেই নীলনকশায় জড়িত। তাই আইনি লড়াই দিয়ে কোনো কাজ হবে না।’

সোমবার (১৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ প্রভাষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘পুলিশ, র‌্যাব, সরকারি-বেসরকারি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, দুদক, বিচার বিভাগ— সবাই এই নীলনকশার অংশ। তাই আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আমাদের পথ আমাদেরই বেছে নিতে হবে। আন্দোলন বলে-কয়ে আসবে না। আন্দোলন তার প্রয়োজনে গতি পাবে।’

নির্বাচন নিয়ে সরকারের আচরণকে দ্বিমুখী অভিহিত করে আমির খসরু বলেন, ‘আমি নির্বাচন বলে কিছু দেখছি না। নির্বাচন নিয়ে সরকারের আচরণ দ্বিমুখী। প্রথমত, তারা সবকিছু দখল করে জিততে চায়। আর যেখানে দখল সম্ভব নয়, সেখানে তারা নির্বাচনই বন্ধ করে দেয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্বৈরাচাররা বুঝতে পারছে, নির্বাচন না দিয়ে যতদিন ক্ষমতায় থাকা যায়, তার চেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যায় নির্বাচন দিয়ে। বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন, জনগণকে বাইরে রেখে নির্বাচন হচ্ছে। আমাদের স্বৈরাচার সরকারও নির্বাচনের মাধ্যমে কিভাবে ক্ষমতা দখল করে থাকতে হয়, সেটা প্রমাণ করছে। ভোট হচ্ছে, কিন্তু জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকার মিথ্যাচার চালিয়ে টিকে আছে অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিথ্যাচার তাদের একটি কৌশল। তারা স্যাটেলাইটের কথা বলছে। প্রাইভেট কোম্পানিও তো স্যাটেলাইট পাঠাতে পারে। কিন্তু তারা খরচ করেছে তিন গুণ। প্রবৃদ্ধি নাকি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বলছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তাদের প্রতিটি তথ্যই মিথ্যা। এটা তাদের টিকে থাকার কৌশল। টিকে থাকার জন্য তারা আরেকটি কৌশল নেয়, সেটি হলো মেগা প্রজেক্ট। এই প্রজেক্ট আগামী প্রজন্মের ওপর আরো বড় ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।’

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আমির খসরু। পাশাপাশি সরকারের দেওয়া প্রতিটি তথ্যেরই অনুসন্ধান করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সারাবাংলা/এসও/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর