২৮ বারেও দাখিল হয়নি খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
১৪ মে ২০১৮ ১৭:১৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামি ১১ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (১৪ মে) মামলটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্দারিত ছিল। কিন্তু এ দিন শাহবাগ থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ তারিখ ঠিক করেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৮ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের জননেত্রী পরিষদের সভাপিতি এ বি সিদ্দিকী মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়োতনে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এত মানুষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহিদ বুদ্ধিজীবীরা) যদি বুদ্ধিমান হতেন তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন?’
খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য জাতির পিতার ইতিহাসকে বিকৃত করে যুব সমাজের কাছে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করে মানহানিকর অপরাধ করেছেন বলে মামলা দায়ের করেন বাদী।
সারাবাংলা/এআই/এমআই