Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ দিনের আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন শুরু হচ্ছে শুক্রবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪১

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে ‘আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩’। আগামীকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে এই সম্মেলন, চলবে আগামী রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট যৌথভাবে আয়োজন করেছে এই জলবায়ু সম্মেলন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩’-এর বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবের হোসেন চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারপারসন তানভির শাকিল জয় ও আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের অন্যান্য সদস্যসহ আয়োজক ও সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা।

সংবাদ সম্মেলনে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জলবায়ুসংকট, বৈশ্বিক পরিবেশ দূষণ, জল ব্যবস্থাপনা, জলবায়ুসংক্রান্ত কার্যক্রমে অর্থায়ন, বিশুদ্ধ বায়ু, শক্তি নিরাপত্তা এবং উল্লেখিত দেশগুলোর জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।’ দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধি সরাসরি এই সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানান তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণ নিয়ে আঞ্চলিক জরিপ করা হবে কি না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে তানভীর শাকিল জয় বলেন, জরিপ না হলেও যেহেতু অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সংসদ সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা আসবেন, তাই সামগ্রিক চিত্র উঠে আসবে।

বিজ্ঞাপন

সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের বায়ুদূষণের ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্স-বাউন্ডারি দূষণ। শুধু বাংলাদেশই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়াই এই সমস্যায় ভুগছে। আশা করি আমাদের জন্য ভালো হবে এমন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

তিন দিনের এই আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক, করপোরেট খাত, উন্নয়ন সহযোগী দেশীয় ও আন্তর্জতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন খাতের ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে ৪ চারটি থিমেটিক সেগমেন্ট ও ১৯টি সেশনে আলোচক (প্যানেলিস্ট) হিসেবে অংশ নেবেন ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

এই আয়োজনে সরাসরি সংশ্লিষ্ট আছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, জাতীয় ও আন্তজার্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মিলিয়ে মোট ২২টি প্রতিষ্ঠান। সম্মেলনের স্ট্র‍্যাটেজিক পার্টনার সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ।

বিভিন্ন সেশনের লিড অরগানাইজেশন হিসেবে থাকছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, শক্তি ফাউন্ডেশন ও ইউএসএআইডি। কো-লিড অরগানাইজেশন হিসেবে থাকছে ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ। সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক ও সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার ইউনিলিভার।

আয়োজনের গোল্ড স্পনসর হিসেবে থাকছে কোকা-কোলা ও গ্রামীণফোন। পার্টনার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ট অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্টাডিজ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, শক্তি ইনস্টিটিউট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), সাউথ এশিয়ান জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্স, বাংলদেশে মার্কিন দূতাবাস, ওয়াটারএইড এবং ইয়ুথ ফর কেয়ার প্ল্যাটফর্ম।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন জলবায়ু সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর