কোরবানির পশুর হাটের হাসিল বন্ধ চেয়ে রিট
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০৯
ঢাকা: রাজধানীর আফতাবনগরসহ সারাদেশে ঈদুল আজহার আগে অস্থায়ীভাবে বসানো সব পশুর হাট থেকে হাসিল আদায় বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি জনদুর্ভোগ কমাতে রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় পশুর (গরু ছাগল বিক্রির) হাট না বসানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, পুলিশের আইজিপি, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের অপারেটিভ ডাইরেক্টর এবং বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে।
জনস্বার্থে গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ সারাবাংলাকে বলেন, রাজধানীর আফতাব নগর আবাসিক এলাকায় পশুর হাট না বসাতে এবং সারাদেশে ঈদুল আজহার আগে অস্থায়ীভাবে বসানো পশুর হাট থেকে হাসিল, টেক্স (Tex), লেভি (Levy) বা অন্য কোন নামে অর্থ আদায় বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের যে কোনো একটি বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে সারাদেশে ঈদুল আজহার আগে অস্থায়ীভাবে বসানো পশুর হাট থেকে হাসিল, টেক্স (Tex), লেভি (Levy) বা অন্য কোন নামে অর্থ আদায়কে কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এবং এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে চলতি বছরের মে মাসে কোরবানির ঈদের আগে একটি রিট আবেদন করেছিলাম। তখন আদালত রুল ও বাজার ইজারা দেওয়ার দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন। এরপর আপিল বিভাগ ওই রিটের আদেশ স্থগিত করেন। পরে গত ২৮ আগস্ট নতুন করে এই রিট দায়ের করেছি।
এর আগে গত ২১ আগস্ট এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
চলতি বছর ঈদুল আজহার আগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রিট দায়ের করা হয়। এরপর গত ২২ মে রাজধানীর আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর বিষয়ে ইজারার কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হলে এর মেয়াদকাল একাধিকবার বৃদ্ধি করে আদালত।
এরপর বিষয়টি চেম্বার আদালত হয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে আসে। পরে গত ১৪ জুন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
এরপর নতুন করে এই রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে