বিজিবির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘ই-রিক্রুটমেন্ট’ সফটওয়্যার
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩৪
ঢাকা: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি’র নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আধুনিক যুগোপযোগী, কার্যকরী ও সহজীকরণের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর ওয়েব বেজড ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এই সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথপরিক্রমায় তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের গর্বিত অংশীদার হিসেবে বিজিবির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আধুনিক, স্মার্ট প্রযুক্তিনির্ভর ও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি ওয়েব বেইড ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যার তৈরির কার্যক্রম হাতে নেয়। যার সফলতার দ্বার উন্মোচিত হলো আজ এই সফটওয়্যারটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, রিক্রুটমেন্ট হলো একটি বাহিনীর দক্ষ সৈনিক বাছাইয়ের মূল ভিত্তি। নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ও স্বচ্ছ হলে বাহিনী মেধাবী, চৌকস ও দক্ষ সৈনিক পাবে। আর শুধুমাত্র একজন দক্ষ সৈনিকই পারে দেশমাতৃকার সীমান্ত সুরক্ষা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বলিষ্ঠ অবদান রাখতে। বিজিবির এই ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যার সঠিক প্রার্থী নিরূপণ করে যোগ্য, মেধাবী, দক্ষ ও চৌকস সৈনিক নিয়োগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সহায়ক ও বলিষ্ঠ অবদান রাখবে বলে বিজিবি মহাপরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যেসব সুবিধা মিলবে ই-রিক্রুটমেন্ট সফটওয়্যারে:
১. এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেশের সেবায় আগ্রহী প্রার্থীরা joinborderguard.bgb.gov.bd টাইপ করে নিজে নিজেই বিজিবিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে আবেদন ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
২. বর্তমান পদ্ধতিতে প্রার্থীর ছবি অনলাইন আবেদনের সময়েই গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে সুরক্ষিত এনক্রিপটেড কিউআর কোড থাকায় প্রতারণার সুযোগ নেই।
৩. এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদনকারী তার শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পূরণ করার পর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় ডাটাবেজ থেকে তথ্য যাচাই করতে পারবে। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং একই সঙ্গে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন আরও সুদৃঢ় হবে।
৪. প্রার্থীর আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি বিজিবির রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রমের অন্য সব বিষয় যেমন- প্রার্থীদের জেলা ভিত্তিক নির্বাচন কেন্দ্র নির্দিষ্ট করা, পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো নির্দেশনা অবহিত করা, ফলাফল পাঠানো ইত্যাদি কাজ অনেক সহজ হবে।
৫. এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন হেল্পলাইন স্থাপনের মাধ্যমে ২৪/৭ প্রার্থীদের আবেদন ও নিয়োগ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে।
৬. আবেদনকারী কোনো প্রতারক বা দালালচক্রের প্রভাব ছাড়াই আবেদন প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা/যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নিজস্ব মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে বিজিবির গর্বিত সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়া (লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং মেডিকেল চেকআপ) সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যে এই সফটওয়্যারের আধুনিকীকরণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে বিজিবি।
সারাবাংলা/ইউজে/এনইউ