কক্সবাজারে ২ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ২ নম্বর আসামি গ্রেফতার
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৯
কক্সবাজার: কক্সবাজারে ‘বেড়াতে আসা’ এক তরুণীকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে আবাসিক কটেজে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলার এজাহারভূক্ত দুই নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য জানান। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়ার আসামির নাম মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে হারবদল (৩৫)। তিনি কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার নুর আহমদের ছেলে। এর আগে, গত মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি সোলায়মান শামীমকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে ভুক্তভোগী তরুণী (১৯) তিন বান্ধবীসহ পরিচিত এক ব্যক্তিকে নিয়ে কক্সবাজার আসেন। তারা কক্সবাজার পৌঁছার পর কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল মেরিন প্লাজায় উঠেন। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে আসা এক বান্ধবীকে নিয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট সড়কে কাঁকড়া খেতে যান। কাঁকড়া খাওয়া শেষে হোটেল কক্ষে ফেরার সময় ৩/৪ জন দুর্বৃত্ত জোর করে তাদের অটোরিকশায় তুলে রাজন কটেজে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা আলাদা কক্ষে রেখে জিম্মি করে। পরে ভুক্তভোগী তরুণীকে দুর্বৃত্তরা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীসহ দুই তরুণীকে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নিয়ে ঢাকাগামী একটি বাসে তুলে দেয়। বাসটি রামু বাইপাস সড়ক এলাকায় পৌঁছলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ওই তরুণী বাস থেকে নেমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলেও তার বান্ধবী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের খবরে পুলিশ ওই তরুণীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের সহকারী পরিচালক আবু সালাম চৌধুরী জানান, কক্সবাজারে বেড়াতে এসে আবাসিক কটেজে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে হারবদলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু উপজেলার রাবার বাগানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মনিরুলকে শুক্রবার সকালে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ওএফএইচ/এনএস