Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মানুষ ও পৃথিবী পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই টিকে থাকতে পারে’

সারাবাংলা ডেস্ক
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৯

ঢাকা: পারস্পরিক সহযোগিতাই মানবজাতি ও পৃথিবীর অস্তিত্বের একমাত্র মাধ্যম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা হলো মানুষ এবং আমাদের মা পৃথিবী শুধুমাত্র পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই টিকে থাকতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মন্ডপম সেন্টারে জি২০ লিডারস সামিট ২০২৩-এর ‘সেশন: ওয়ান আর্থ’-এ ভাষণ দেন। এই শীর্ষ সম্মেলনের থিম ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত।’

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা চাই যা দারিদ্র্য বিমোচনের সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, সংঘাত রোধ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জন্য প্রযুক্তিগত স্থানান্তরকে অর্থায়ন করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই শীর্ষ সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের একাধিক সংকট, কোভিড-১৯ মহামারি এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ দ্বারা প্রভাবিত। এই চ্যালেঞ্জগুলো মানবজাতির জন্য, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যতসহ একক কমিউনিটির দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা অপরিহার্য করে তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ সামান্য অবদান রাখলেও এর পরিণতির শিকার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতএব, আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা সবুজ এবং টেকসই উন্নয়নের উপর বিশেষ দৃষ্টি দেয়। এখন আমরা সার্কুলার ইকোনমির পথেও যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল হিসেবে পরিচিত এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু অভিযোজনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমরা ৪ হাজার ৫৩০টি সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করেছি। আমরা এখন একাধিক উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য ‘মুজিব কিল্লা’ নামে আরও ৫৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি কনফারেন্স অন ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিডিআরআই)-এর জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ২০২১ সালের জুলাইয়ে এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে জলবায়ু সমৃদ্ধির ঝুঁকি থেকে টেকসই অবস্থায় নিয়ে যেতে আমরা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা চালু করেছি।’

তিনি জানান, তার সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক ও সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২ হাজার ১০০ প্রণয়ন করেছে।

এর আগে, শনিবার দিল্লির স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে স্বাগত জানান।

প্রগতি ময়দানে ভারত মান্দাপাম কনভেনশন সেন্টারে গ্রুপটির ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বছরজুড়ে চলা বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পরিণতি হতে চলেছে।

তারও আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভারতের রেলওয়ে ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোস প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এদিন ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৭টা) লোক কল্যাণ মার্গের নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে দুই নেতা এক বৈঠক করেন।

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর