Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আলুর দাম বাড়ায় সিন্ডিকেট, সরকার চাইলে তথ্য দেবো’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০২

ঢাকা: বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, ‘মুনাফালোভী একটি চক্র আলু মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করছে। এখানে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের কোনো দায় নেই। তবে কারা সিন্ডিডিকেট করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে সরকার চাইলে সেসব তথ্য আমরা দিবো।’

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সম্মেলন কক্ষে আলুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘কোল্ড স্টোরেজ শেড থেকে আলু বের হয় ১৮ টাকা কেজি দরে। পরে পরিবহন, আড়ত ও খুচরা বিক্রেতাদের খরচসহ সব মিলিয়ে এ আলু ভোক্তাপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।’

বাবু আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে যারা আলু সংরক্ষণ করেছে তারা মনে করছে আলুর মজুত কম রয়েছে। এজন্য তারা আলুর দাম বাড়াচ্ছে। গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সদস্যদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আলু গত বছরের তুলনায় কম সংরক্ষিত রয়েছে। তবে সদস্যদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যে আলু সংরক্ষিত আছে তা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহে পর্যাপ্ত আলুর সরবরাহ থাকবে।’

কারা আলুর দাম বৃদ্ধি করছে, কারা সিন্ডিকেট করে আলু মজুত করছে তাদের তথ্য আমরা বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়েছি উল্লেখ করে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, ‘বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে। এখন আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। হিমাগার মালিকদের যে একতরফা দোষারোপ করা হচ্ছে এটা সঠিক নয়। সরকার আলু মজুতের যে তথ্য দিচ্ছে তা সঠিক নয়। কারণ প্রাকটিক্যালি আমরা দেখছি কোল্ড স্টোরেজের ২০ শতাংশ খালি রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা আলু ধীরে ছাড়ছে, ফলে বাজারে দাম বাড়ছে। কেন দাম বাড়ছে সেটা সরকারের সংস্থাগুলোকে আমরা বলেছি। এই দাম কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা সরকারকে ভেবেচিন্তে করতে হবে।’

মোবাইল কোর্ট বা হয়রানিমূলক ভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না বলেও মত দিয়েছেন কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের এই নেতা।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

আলু কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর