Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আপনারা দেশে থাকবেন নাকি পাকিস্তানে যাবেন: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৫

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, রিজভী সাহেবরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন পাকিস্তানে যাবেন নাকি এখানে ( দেশে) থাকবেন। কারণ তাদের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। যদি পাকিস্তানই ভালো বলে তারা মনে করেন তাহলে প্রয়োজনে তারা পাকিস্তান চলে যেতে পারেন বা অন্য কোথাও যেতে পারেন।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া বক্তব্য ‘আপনারা ভারতে যাবেন নাকি অন্য কোথাও যাবে সেটি ঠিক করেন’ এর প্রতিক্রিয়া তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোথাও যাব না, আমরা এদেশে আছি, এদেশে থাকব।’

এ সময় আইন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আশ্রয় সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মেদের মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনায় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আশ্রয় পাননি তিনি গিয়েছিলেন। অপেক্ষা করে গেইট থেকে চলে আসছেন। আমার মনে হয়েছে এটি একটি নাটক। সম্ভবত তিনি স্বপরিবারে মার্কিন ভিসা চাচ্ছেন, সে জন্য এটাকে অনেকেই নাটক বলেছেন। তিনি (এমরান আহম্মেদ) আলোচনায় থাকার জন্য নাটকটি সাজিয়েছেন বলে অনেকে বলছেন।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মাধ্যমে এটিই স্পষ্ট হয়েছে তাদের এক দফার আন্দোলন যে অসম্ভব একটা কঠিন কাজ, এটি তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি (মির্জা ফখরুল) বলেছেন যে, এক দফার আন্দোলন কঠিন সময়ে আসছে। এক দফার আন্দোলনের মধ্যে তো তারা বহু আগে থেকেই আছেন। একবার গরুর হাটে মারা গেছে, তারপর কদিন আগে আগস্টের আগে জোর একদফার আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেটিও হালে পানি পায়নি। এখন তাদের হাট তো ভেঙে গেছে দেখা যাচ্ছে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট তাদের এক দফার আন্দোলন যে এটি আদায় করা সম্ভবপর নয় এটি তার বক্তব্যের মাধ্যমেই স্পষ্ট।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জি২০ সম্মেলনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ জি২০ এর সদস্য নয়। জি২০ এর সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও জি২০ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে ডাকা হয়নি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সফল ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, সেটির বিস্তারিত তারা ফিরে আসলে আপনারা জানতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেই প্রধানমন্ত্রী এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন, সেখানে কুশল বিনিময়সহ ছোটোখাটো আলোচনাও হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। অন্যান্য রাষ্ট্র নায়কদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে সাইডলাইনে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত সফল সফর হয়েছে।

“আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসবেন। কদিন আছে রুশ পরররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের সরকারের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশ্ব নেতাদের যে সুস্পর্ক, সরকারের সাথে সুসম্পর্ক সেটি এগুলোতেই প্রমাণিত হয়।”

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কয়েক দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুদিন ধরে নিরাপত্তা সংলাপ হয়েছে। এই ঘটনা যারা অনুধাবন করতে পারেন তারা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন যে বর্তমান সরকারের সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কি সুসম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে সেটি আরও ঘনিষ্ট করার জন্য দুই দেশ কাজ করছে।’

সেলফি রাজনীতিতে কি বার্তা দিচ্ছে, এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাইডলাইনে বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশল বিনিময় হয়েছে কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এবং ছবি তো অনেক কথা বলে। ছবি নিয়ে তো অনেক গবেষণাও হয়।’

‘আপনারা ছবি তালেন, সেই ছবি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়, ছবি অনেক কথা বলে। গতকালের ছবির ভাষা আপনি সাংবাদিক হিসেবে নিশ্চিয়ই বুঝতে পারছেন এবং যারা বোদ্ধা ব্যক্তি তারাও বুঝতে পারছে যে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো, ঘনিষ্ট এবং এটি আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হবে।’

সারাবাংলা/জেআর/ইআ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর