Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বচ্ছ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ইসি: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫

ঢাকা: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে আনিসুল হক এ কথা জানান। রোববারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। এ ছাড়া সংবিধান, আরপিও, মতবিনিময় সভার আলোচনা, প্রচলিত বিভিন্ন আইন ও বাস্তবতার নিরিখে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন তৎপর রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সবার অবগতির জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের অবাধে সংবাদ গ্রহণের সুযোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল যেন সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, অর্থাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রার্থীদের প্রতি সমআচরণ, নির্বাচন কমিশনের আরও বেশি যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ, নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং-সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণসাপেক্ষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি, নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখা, প্রার্থী বা সমর্থক যেন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করা, আইন ও বিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সব প্রার্থীকে আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ তৈরিসহ সম্ভাব্য সব কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করবে বলেও জানান মন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী জানান, নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার জন্য নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রাণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সভা আয়োজন এবং নির্বাচনে এসব দফতরের সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া; ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন; নির্বাচনি আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন ও ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ; এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচনি আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আইনমন্ত্রী সংসদ অধিবেশন সংসদে আইনমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর