Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংসদে কপিরাইট বিল পাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:২৫

ঢাকা: অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কাজের স্বত্বাধিকারীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে জাতীয় সংসদে ‘কপিরাইট বিল-২০২৩’ পাস করা হয়েছে। বিলে প্রকাশনা, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল কাজ, নাটক, লোক কাহিনি, শিল্পকলা এবং অডিও রেকর্ডিংয়ের মৌলিক কাজের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এরপর কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারি ও বেগম রওশন আরা মান্নান, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

কপিরাইট আইন-২০০০ রহিত করে সংসদে আনীত বিলে কপিরাইটের মেয়াদ ৬০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল কর্মের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। বিলে অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কর্মের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘একক বা যৌথভাবে রচিত ও ছদ্মনামে প্রকাশিত কোনো কর্মের ক্ষেত্রে প্রণেতার পরিচয় প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশক কর্তৃক জনসাধারণ্যে প্রকাশিত প্রণেতা অথবা তার আইনানুগ প্রতিনিধি।’ বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে যে মেধাসম্পদ তৈরি হয়, তার আইনগত স্বীকৃতি ও সুরক্ষার জন্য কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

গত দুই দশকে প্রযুক্তির অসামান্য উন্নতির প্রেক্ষাপটে মেধাস্বত্বের ব্যবহার ও প্রযুক্তি নির্ভরতা বহুগুণ বেড়েছে এবং পাইরেসি বৃদ্ধির কারণে মেধাসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষায় বিদ্যমান কপিরাইটের অধিকতর সংশোধন করতে বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে বিলে বেশ কিছু নতুন সংজ্ঞা সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কর্মের স্বত্বাধিকারী, ডাটাবেজ, পাবলিক ডোমেইন, ফনোগ্রাম প্রডিউসার, ব্যক্তি, লোকজ্ঞান, লোকসংস্কৃতি, সদ্ব্যবহার, সম্পাদক, সম্পৃক্ত অধিকার এর সংজ্ঞাসমূহ নতুন সংযোজিত করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, বিলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ধারা সংযোজন করা হয়েছে; পাইরেসি প্রতিরোধে নতুন ধারা প্রস্তাব করা হয়েছে; মেধাস্বত্ব আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাস্কফোর্সের বিধান সংযোজন করা হয়েছে; ডিজিটাল কর্ম ও কম্পিউটার ভিত্তিক কর্মসমূহের কার্যক্রমকে প্রস্তাবিত আইনে হালনাগাদ করা হয়েছে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কপিরাইট লঘন প্রতিরোধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; লোকজ্ঞান ও লোকসংস্কৃতি অধিকার সুরক্ষার জন্য একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় সংযুক্ত করা হয়েছে; রয়্যালিটি সংশ্লিষ্ট নতুন একটি অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে এবং ভেটিংকৃত আইনটি মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর তফসিলভুক্ত করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এ এইচ এইচ/এনইউ

কপিরাইট জাতীয় সংসদ টপ নিউজ পাস বিল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর