Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা: সোহেল সিকদারের জামিন স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২৮

ঢাকা: কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন (৪০) হত্যা মামলার আসামি মো. শাহীনুল ইসলাম ওরফে সোহেল সিকদারের জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

গ্রেফতারের পর আসামি সোহেল সিকদার নিম্ন আদালতে জামিন চান। সেখানে জামিন নামঞ্জুরের পর হাইকোর্টে জামিন চান তিনি।

এরপর গত ২৭ জুলাই বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। এরপর ৩ ও ১০ আগস্ট আবেদনটি কার্যতালিকায় ছিল। ১০ আগস্ট জামিন আবেদনটি খারিজের আদেশ দিতে চাইলে আসামির আইনজীবী তা ‘নন প্রসিকিউশন’ করে নেন।

এরপর ২৮ আগস্ট বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন চেয়ে পুনরায় আবেদন করেন আসামির আইনজীবী। এরপর আবেদনটি শুনানির জন্য টানা তিন কার্যদিবস কার্যতালিকায় আসে। ৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ইতোপূর্বে জ্যেষ্ঠ হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এরপর এখানে পুনরায় জামিন চেয়েছেন। তখন জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন ওই বেঞ্চ।

দুই দিনের মধ্যে দুটি বেঞ্চ থেকে জামিন না মেলায় অবকাশকালীন বেঞ্চে জামিন আবেদনটি নিয়ে যান আসামির আইনজীবী। অবকাশের প্রথম দিন ৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চের আনলিস্টেড মোশন হিসেবে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য ছিল। ওইদিন শুনানি নিয়ে আসামি সোহেল সিকদারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে ।

এই জামিন আদেশ দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ওইদিনই কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছে যায়। সেখানে জামিননামা দাখিল ও স্বাক্ষরের পর যায় কারাগারে। এরপরই ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মুক্তি পান আসামি সোহেল সিকদার। পরে সোহেল সিকদারের জামিন স্থগিত ও তাকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশনা চেয়ে আপিল বিভাগের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৩০ এপ্রিল দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে (৪০) বোরকা পরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এ হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর নয়জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে সোহেল অন্যতম। যিনি তিতাস উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তাকে গত ৬ মে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর