প্রাথমিকের ৭৫ প্রধান শিক্ষককে ১০ম গ্রেড দেওয়ার নির্দেশ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৮
ঢাকা: সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৭৫ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ১০ম গ্রেডের (সাবেক ২য় শ্রেণী) গেজেটেড পদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের মাধ্যমে বিসিএস থেকে নিয়োগ পাওয়া সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক দ্বার উন্মুক্ত হলো।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সম্প্রতি এ রায় দেন।
৩৬তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া ৭৫ জন ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
কুড়িগ্রামের মাহবুবুল আলম, জামালপুরের মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়ার জাকিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন জেলার ৭৫ জন প্রধান শিক্ষক এই রিট দায়ের করেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৩ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের ১০ম গ্রেডের গেজেটেড পদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রায়ের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, ‘বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পিএসসি বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে থাকে। ২০১০ সাল থেকে ক্যাডার বহির্ভূত প্রথম শ্রেণির গেজেটেড নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা শুরু করে পিএসসি।’
ফলে ক্যাডারবহির্ভূত বিভিন্ন পদে পিএসসি সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে ২০১০ সালের নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা আংশিক সংশোধন করে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদগুলোতেও নিয়োগের সুপারিশ করা শুরু করে পিএসসি।
ওই বিধিমালার আলোকে ২০১৭ সালে ৩৬তম বিসিএসে ৩৩০৮ জনকে ১০ম গ্রেডের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। কিন্তু বর্তমান রিট পিটিশনারদের ১২তম গ্রেডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এটি ২০১০ সালের নন ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার (সংশোধনী ২০১৪) সরাসরি লঙ্ঘন।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘একই বিসিএস থেকে একসঙ্গে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য দফতরের সব পদ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড এবং ১০ম গ্রেডভুক্ত। আর রিটকারীদের নন গেজেটেড এবং ১২তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের ২৭ ও ২৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এ কারণে বৈষম্যের শিকার হওয়া ৭৫ জন প্রধান শিক্ষক সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।’
ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ ১০ম গ্রেড প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রিটকারীদের আইনজীবী।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম