Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট ‘ডি১ কাপ বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত

সারাবাংলা ডেস্ক
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২৯

ঢাকা: তরুণদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট ‘ডি১ কাপ বাংলাদেশ ২০২৩’। ডিসকভারি ওয়ান লিমিটেড এর আয়োজনে এই টুর্নামেন্টের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিল বিকাশ।

ইলেকট্রনিক স্পোর্টস বা সংক্ষেপে ই-স্পোর্টস বলতে বোঝায় অনলাইনভিত্তিক কম্পিউটার বা মোবাইল গেমিং টুর্নামেন্টকে। সারা বিশ্বে, বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে থাকা দেশগুলোয় এই ধরণের টুর্নামেন্ট অত্যন্ত জনপ্রিয় যা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের গেমারদের মধ্যেও সাড়া ফেলছে। এই টুর্নামেন্টগুলোয় গেমাররা একক বা দলগত ভাবে অংশ নিয়ে থাকেন।

ডি১ কাপ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব অনলাইনে হলেও মূল পর্ব ‘ডি১ কাপ বাংলাদেশ সেশন-২’ এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে। সারাদেশ থেকে তিন শতাধিক দল এই ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্টের তিনটি জনপ্রিয় গেম ‘ভ্যালোরেন্ট’, ‘সিএস: গো’ ও ‘মোবাইল লিজেন্ডস: ব্যাং ব্যাং’ গেমে অংশগ্রহণ করে।

কম্পিউটার ভিত্তিক গেম ‘ভ্যালোরেন্ট’ এ বিজয়ী হয় টিম ‘এমএলটি’ এবং সিএস: গো’ গেমে বিজয়ী হয় টিম ‘রেড ভাইপারজ’। মোবাইল ভিত্তিক গেম ‘মোবাইল লিজেন্ডস: ব্যাং ব্যাং’এ বিজয়ী হয় টিম ‘ক্রালস কাউন্সিল’।

বিজয়ী দলগুলোর পাশাপাশি, টুর্নামেন্টের সেরা ৩২টি দল বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে। সব মিলিয়ে এ টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের ৪০ লাখ টাকার প্রাইজমানি দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

এই আয়োজনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, তরুণ গেমাররা অনেক উৎসাহী এ ধরণের কম্পিটিশনে এসে। তাদেরকে ভালো ফ্ল্যাটফর্ম দিতে হবে, মোটিভেট করতে হবে। আমাদের এই গেমাররা বৈশ্বিক কম্পিটিশনগুলোতেও বিজয়ী হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বিশ্বজুড়ে গেমারদের কাছে জনপ্রিয় নাম ‘ই-স্পোর্টস’। বাংলাদেশেও দিন দিন এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশের গেমিং খাতে নতুন মাইলফলক তৈরির লক্ষ্যে ডিসকভারি ওয়ান লিমিটেডের এই আয়োজনের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয় বিকাশ। গ্লোবাল ডাটার তথ্য অনুসারে ২০২২ সালে বিশ্বে ই-স্পোর্টস এর মার্কেট ভ্যালু ছিলো ১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাজারটি প্রতিবছর ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হারে ২০৩০ সাল নাগাদ ৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে অনুমান করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সারাবাংলা/ইআ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর