বিজিবি-বিএসএফ সভা: নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা বন্ধের তাগিদ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের বিএসএফ’র মধ্যে সমন্বয় সভায় সীমান্ত হত্যা বন্ধ, গরু-মাদক চোরাচালান রোধসহ নিরাপত্তা বাড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
চারদিনের সভা শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, সমন্বয় সভায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী ও দেশটির নাগরিকদের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের বিষয়ে গুরুত্বরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএসএফ গরু চোরাচালান রোধে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের সদর দফতরে সমন্বয় সভা শুরু হয়। এতে বিজিবির ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান।
অন্যদিকে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের মহাপরিদর্শক (আইজি) প্রদীপ কুমার। ভারতের প্রতিনিধি দলে মিজোরাম ও কাচার ফ্রন্টিয়ারের আইজি ছাড়াও দেশটির স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
চার দিনের সমন্বয় সভা থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিজিবি-বিএসএফ প্রতিনিধি দলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান জানান, সমন্বয় সভায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সীমান্ত সংক্রান্ত কিছু সমস্যা এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের বিষয় আলোচনা হয়েছে।
বিজিবি’র পক্ষ থেকে আলোচনায় উঠে আসে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যার বিষয়টি। এছাড়া ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। আন্তর্জাতিক সীমানার দেড়’শ গজের মধ্যে সীমান্ত অবকাঠামো নির্মাণ এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়ও সভায় তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএসএফ’র পক্ষ থেকে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের ওপর জোর দেওয়া হয়। গরু চোরাচালান বন্ধ, আন্তর্জাতিক সীমান্ত বেড়া লঙ্ঘন এবং ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা সভায় তুলে ধরেন বিএসএফ প্রতিনিধিরা।
যৌথ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় তুলে ধরে সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আমরা উভয় বাহিনী আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে বিদ্যমান প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদারে সম্মত হয়েছি। সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে আরও সংবেদনশীল করার বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা মনে করি, নিয়মিত বিভিন্ন বৈঠক-সভার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও ঐতিহ্যবাহী বন্ধনকে আরও দৃঢ় হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ