Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সরকার কিছুটা আয়ু বাড়াতে পারে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০৫

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মেরে, ধরে, গুম, খুন করে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার কিছুটা আয়ু বাড়াতে পারে। আবার নাও পারে। তবে, তাদের যেতে হবে। টাইম শেষ, এক্সপায়ার্ড ডেট শেষ হয়ে গেছে। তাদের বিদায় নিতে হবে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘১/১১ ষড়যন্ত্র, আজকের প্রেক্ষাপট: দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনব। বিশ্ব বিবেক, বিশ্ব গণতন্ত্র আমাদের পক্ষে আছে, জনগণের পক্ষে আছে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তবে, এজন্য আগামী দিনগুলোতে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রত্যেকটি ঘণ্টা, প্রত্যেকটি দিন আন্দোলনের সঙ্গে থাকতে হবে। এই দুইটা মাস দেশের মানুষের জন্য সেক্রিফাইস করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হলো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অপর রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা; জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। কিন্তু এখন তো দেশ চালাচ্ছে একটি রেজিম। অনেকেই হয়তো বলবে যে, আওয়ামী লীগের কথা। কিন্তু দুঃখিত, এখানে আওয়ামী লীগের কিছু নাই। এটা একটা রেজিম, তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছে। এই রেজিমকে দূর করতে হবে। আমাদের আন্দোলন তো এই রেজিমের বিরুদ্ধে। এটিকে দূর করতে হলে সমস্ত জাতিকে একত্রিত হতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘১/১১ এর মাধ্যমে যেটা হয়েছে সেটা হল দেশের গণতান্ত্রিক যে কাঠামো; সেখানে তারা আঘাত করেছে। রাজনীতিতে এই লোকগুলোর আসার কোনো অধিকার নেই। রাজনীতিতে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে। একটা নিরপেক্ষ সরকারের জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। যা একটি সুন্দর সরকার দেবে, সেটাই সংবিধান। অথচ তারা ভোট চুরির অংশ হিসেবে বলছে সংবিধানের কথা। তারা মানুষের অধিকারের কথা বলছে না, তারা একটা ভোট চুরির প্রকল্পের কথা বলছে। এই প্রকল্পের মধ্যে বিচারক আছে, সরকারি কর্মকর্তারা আছে, ব্যবসায়ীরা আছে, লুটেরা আছে, রাজনীতিবিদ আছে, সুবিধাভোগীরা আছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা ভুলে যাচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে শুধুমাত্র জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই দেখা গেছে। যতবার নিরপেক্ষ সরকারের আওতায় নির্বাচন হয়েছে ততবার জনগণের প্রতিফলন সুন্দর করে উঠে এসেছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ। এজন্য জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার।’

আমীর খসরু বলেন, ‘সংবিধানে আছে সংসদ বাতিলের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু ২০০৮ সালে যে নির্বাচনটা হয়েছিল, সেটা হয়েছিল দুই বছর পর। তাহলে এটা কি সংবিধানসম্মত হয়েছিল? এটা সংবিধানের বাইরে না? আমরা সেই নির্বাচনে গিয়েছিলাম। তাই জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছিল। কিন্তু এখন নির্বাচনকে একটি ভোট চুরির প্রকল্প বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে নির্বাচন হবে, সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছে। সংবিধানের সাত ধারাতে বলা হচ্ছে সংবিধান হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সেইটার সঙ্গে তারা বেইমানি করছে। ভাওতাবাজি করছে সংবিধানের নামে।’

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/আইই

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর