প্লাস্টিক বর্জ্যের কারখানায় মিলল চিকিৎসা বর্জ্য, গ্রেফতার
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুদের অভিযোগে চট্টগ্রামে একটি প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা-বর্জ্য জব্দ করে কারখানার ব্যবস্থাপককে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কারখানার মালিক ও ব্যবস্থাপককে আসামি করে মামলা করেছেন পরিবেশ অধিদফতরের মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব রোমানা আকতার।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর চান্দগাঁও থানার হাজারীপুল মাইজপাড়া এলাকায় খাজা ট্রেডিং নামে প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদফতর। এসময় ওই কারখানার দু’টি ইউনিট থেকে ইনজেকশনের খালি ভায়াল, ব্যবহার্য্য সিরিঞ্জ ও সুই, ক্যাথেটার, রক্ত সঞ্চালন ব্যাগ ও টিউবসহ দেড় টন চিকৎসা বর্জ্য জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে কারখানা মালিক মো. জুবের আলমের (৩৮) ভাই ও কারখানার ব্যবস্থাপক জুনায়েদ হোসেন রুবেলকে (৩০) গ্রেফতার করা হয় । এরপর তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিমালায় নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের মহানগর কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘কুড়িয়ে পাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করা হয় কারখানাটিতে। কিন্তু তারা ক্লিনিক্যাল বর্জ্যও সেখানে মজুদ রেখেছিল। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অভিযানের সময় নারী-পুরুষ মিলিয়ে অন্তত ৩০ জন শ্রমিককে আমরা প্লাস্টিক থেকে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য আলাদা করতে দেখি। তাদের পরিবেশ ছাড়পত্রও নেই। চিকিৎসা বর্জ্য মজুদ ও প্রক্রিয়াজাত করার সনদও নেই।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অভিযানে কারখানার ব্যবস্থাপক জুনায়েদ হোসেন রুবেলকে আটক করে চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়। জব্দ করা বর্জ্য ধ্বংসের জন্য নগরীর আনন্দবাজারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইনসিনারেটর প্ল্যান্টে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার রুবেলকে পরিবেশ অধিদফতরের দায়ের করা মামলায় শুক্রবার আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়। মামলাটি পরিবেশ অধিদফতর নিজেরাই তদন্ত করবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এনএস