শেখ হাসিনাকে ‘উৎখাত’ করতে প্রয়োজনে শয়তানের সাহায্য চান গয়েশ্বর
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে প্রয়োজনে শয়তানের সঙ্গেও আমরা আঁতাত করতে প্রস্তুত।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ড. রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর রায় এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারকে চির বিদায় করতে এবং গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আমরা রাজপথে আছি। রাজপথে থেকে এ আন্দোলন আরও বেগবান করতে শয়তানের সঙ্গেও আমরা আঁতাত করব। তবে নিয়ন্ত্রণ থাকবে আমাদের হাতে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার একটি প্রহসনের নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। ওই নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। সরকারের সঙ্গে যারা আছে তারা তো মহাজোটের। মহাজোটে যারা আছে তাদের আসলে কোনো দল নেই। জাতীয় পার্টি আছে মহাজোটে। তারা এখন সংসদে বিরোধী দলের ভুমিকা পালন করছে। মূলত এ সব দলের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই।’
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সরকার এখন আর জনগণ নির্ভর নয়। তারা এখন সেলফি নির্ভর হয়ে পড়েছে।’
তিনি বিচারিক আদালত ও উচ্চ আদালতে বিভিন্ন মামলার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘সংবিধানের প্রতি আদালতের কোনো রেসপেক্ট নেই। যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে দুঃশাসন হয়ে থাকে চলতে থাকে। ধরে নিলাম বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অন্যায় করেছেন। তারপরও তিনি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন। তাকে জামিন দিচ্ছেন এবং চিকিৎসার জন্য বাইরেও যেতে দিচ্ছেন না। বেগম খালেদা জিয়া জেল জরিমানার মতো অপরাধ করেননি। সরকারকে খুশি করতে নিম্ন আদালত সাজা দিলো পাঁচ বছর আর উচ্চ আদালত তা বাড়িয়ে দিলো ১০ বছর। এতে প্রমাণিত হয় আমরা আদালত অবমাননা করিনি। আদালতই আদালতের অবমাননা করে থাকে।’
তত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন করেছিলেন। আন্দোলনে গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ তিনি বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ নয়।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সংবিধানের প্রথম থেকেই সমস্যা। যারা সংবিধানটি লিখেছেন তারা স্বৈরাচারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লিখেছেন।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি কথায় কথায় পাকিস্তানিদের গালি দিচ্ছেন। অথচ যুদ্ধকালীন আপনি পাকিস্তানিদের খাবার খেয়েছেন। নিয়াজি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের বাসায় গিয়ে চা পান করেছেন। এ কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আ্যডভোকেট মহাসিন রশিদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে