সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ১৩ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা সদর থানা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে মাকসুদ খানকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহসিনকে গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতনের শিকার ব্যবসায়ী সাউদ সাদাত শনিবার সকালে মাকসুদ খান ও তার ম্যানেজার মহসিন আলীসহ পাঁচজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— মাকসুদ খানের কর্মচারী আকাশ হোসেন, রাকিব হোসেন ও আজিজুল ইসলাম টপি।
মাকসুদ খান সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া মাস্টারপাড়া এলাকার মাস্টার মাহফুজুর রহমানের ছেলে এবং ম্যানেজার মহসিন আলী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের বাসিন্দা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহিদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে ১৩ দিন ধরে ভোমরায় মহসিনের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে মাকসুদ খানের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ম্যানেজার মহসিন আলীকে আটক করা হয়। শনিবার সকালে সাউদ বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মাকসুদ খান ও ম্যানেজার মহসিন আলী, কর্মচারী আকাশ হোসেন, রাকিব হোসেন ও আজিজুল ইসলাম টপিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ইতোমধ্যে মাকসুদ খান ও তার ম্যানেজার মহসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার মাকসুদ খান চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে সাতক্ষীরার ভোমরায় ১৩ দিন আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন করছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ফারহানা রেজা। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় সাউদ সাদাতকে ভোমরাস্থ মহসিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় ব্যবসায়ীর পায়ে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা যায়।
তবে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান জানান, সাউদ সাদাতের সঙ্গে চারমাস ধরে ব্যবসা চলছিল। লেনদেনও ভালো ছিল। তবে কোরবানি ঈদের ১০ দিন আগে তার কাছ থেকে এক কোটি ২৩ লাখ টাকার শুকনা মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ নিয়ে আর টাকা দেননি তিনি। এবিষয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার ম্যানেজারের সঙ্গে এক রুমে থাকতেন সাউদ, খাওয়া-দাওয়া করতেন। গত রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার পাওনা ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যাতে না দিতে হয় সেজন্য তিনি এই অপহরণের নাটক তৈরি করেছেন।’