শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় দণ্ডিত বিএনপি নেতার মৃত্যু
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৫
রাজশাহী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ (৬৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তিনি। আবুল কালাম আজাদ পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে, দুপুরে তিনি অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে তিনি মারা যান।
সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল। তিনি জানান, আবুল কালাম আজাদ বেশ কিছুদিন ধরে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তাকে কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর বেলা তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, তার মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানানো হয়েছে। বেশকিছু আইনি প্রক্রিয়া আছে। কালামের ময়নাতদন্ত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ নেওয়ার আবেদন করতে হবে। এরপর আমরা মরদেহ দিতে পারব।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রেল থানায় মামলা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ রুস্তম আলী ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২৫ জনের যাবজ্জীবন, ১৩ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পাকশীর বাঘইলে।
সারাবাংলা/এমও