আজ শিক্ষা দিবস
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:০০
ঢাকা: আজ ১৭ সেপ্টেম্বর, সোমবার মহান শিক্ষা দিবস। ১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ ও একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের একটি রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন।
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।
১৯৫৮ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাসের মাথায় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর এস এম শরীফের নেতৃত্বে গঠন করেন শিক্ষা কমিশন। পরবর্তীতে যা শরীফ কমিশন নামে খ্যাতি লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনের প্রস্তাবনাগুলো ছিল শিক্ষা সংকোচনের পক্ষে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনা ছিল। পাশাপাশি ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত শরীফ কমিশনে উচ্চশিক্ষা ধনিশ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেয়া ‘শরীফ কমিশন’-এর শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে ওঠে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া ‘শরীফ কমিশনে’র শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন। সেদিন ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল-পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনী ছাত্র জনতার ওপর মিছিলে হামলা করে। একপর্যায়ে হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে সেদিন মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজীউল্লাহসহ নাম না জানা বেশ কয়েকজন শহীদ হন।
ছাত্রজনতার সেই আত্মত্যাগীদের স্মরণ করতেই প্রতি বছর দিনটিকে পালন করা হয়। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা আজ সকালে হাইকোর্ট-সংলগ্ন শিক্ষা অধিকার চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন।
সারাবাংলা/জিএস/এমও