‘ছোট প্যাকেজ বন্ধ হলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হবে’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৫
ঢাকা: মোবাইলের ডেটা প্যাকেজ সীমিতকরণ প্রান্তিক মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা তৈরি করবে বলে মনে করে ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় স্বার্থসংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক মোবাইল ইন্টারনেটের নতুন প্যাকেজ ঘোষণার প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি এ মন্তব্য করেছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।
এতে বলা হয়, দেশের ১১ কোটি ৮৮ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৬৯ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য তিন বা সাত দিনের ছোট প্যাকেজ নেন। এই জনপ্রিয় ডেটা প্যাক বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে ১৫ দিন মেয়াদের প্যাকেজও বন্ধ করাসহ প্যাকেজের ধরন ও প্রমোশনাল এসএমএসের সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে।
বিটিআরসির মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজের ক্ষেত্রে নতুন যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, তা গ্রাহক বান্ধব নয়, সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সীমিত করবে এবং সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হবে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মানুষ তাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের ডেটা প্যাক কিনেন। এদের মধ্যে বড় অংশই কিনেন স্বল্প মেয়াদের প্যাকেজ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ছোট ছোট ডেটা প্যাকের চাহিদা বেশি। দেশে ও প্রবাসে আত্মীয় পরিজনের সাথে যোগাযোগ, মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নিতে তিন দিন মেয়াদের ডেটা প্যাকেজ অধিকাংশ গ্রাহকের পছন্দ। প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী, বেকার, শিক্ষার্থী এমনকি নিম্ন আয়ের মানুষজন মোবাইল ইন্টারনেটের বড় গ্রাহক। এ সব গ্রাহকদের চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন। দেশের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ গ্রাহক ছোট ছোট প্যাকেজগুলি সাশ্রয়ী ও কম টাকায় সামর্থ অনুযায়ী গ্রাহকরা কিনতে পারেন।
নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিটিআরসি সীমিত ও প্রান্তিক মানুষের সামর্থের কথা চিন্তা না করে তিন দিনের প্যাকেজ বন্ধ করে দিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করছে? প্রান্তিক ও সীমিত আয়ের মানুষের ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করতে কী এই আয়োজন কিনা? তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ সীমিত আয়ের এমনকি শিক্ষার্থী, বেকার তরুণ-তরুণী ও শ্রমজীবীদের পক্ষে ২০০ বা ৩০০ টাকা দিয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ