সামনে আখেরি লড়াই: গণতন্ত্র মঞ্চ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৯
ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ‘সরকারের পতন ঘটাতে সামনে আসছে আখেরি লড়াই। এ জন্য অবরোধ, হরতাল, ঘেরাও কর্মসূচির মতো আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার গঠন করা হবে। আন্দোলন সেই দিকেই যাচ্ছে।’
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণতন্ত্র মঞ্চের সংবদ সম্মেলন শেষে নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতাদের বক্তব্যে, আগামী নভেম্বরে নতুন সরকার গঠনের আভাসও উঠে আসে। তবে সেই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হবে কিনা সে সর্ম্পকে স্পষ্টতা পাওয়া যায়নি।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। নাটোরে বিএনপির পদযাত্রায় একটি গাড়িতে সরকারের দলীয় লোকজন আগুন দিয়ে আন্দোলন দমাতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি। সরকার অগ্নিসন্ত্রাস করে ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। নভেম্বরের আগে আখেরি কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতায় থেকে জনগণ নামিয়ে দেবে। আমাদের এই আখেরি আন্দোলন হবে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফরমে, অবরোধ, ঘেরাও বিক্ষোভ এবং হরতাল কর্মসূচির মতো।’
মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান অর্থাৎ জনগণের উত্থান হয়েছে। আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে যাচ্ছি।’
আ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আন্দোলনের প্রাধান্য হিসেবে সরকারের পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রসংস্কারের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। জনগণের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। জনগণ এই দাবির প্রতি একমত পোষণ করেছে। সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো সংলাপ হবে না। সংলাপ হবে সরকার ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করার পর।’
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে। আর কয়েকটা দিনের পরেই সরকার বুঝতে পারবে আন্দোলন কাকে বলে!’
সংবাদ সম্মেলনে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘দেশ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায়’ কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সমাবেশ ও পদযাত্রা। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা সভাও করবে ৬ দল নিয়ে গঠিত এই রাজনৈতিক জোট।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও