৩ কৃষক হত্যা মামলা: ১১ বছর পর গ্রেপ্তার ফাঁসির আসামি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় একই পরিবারের তিন কৃষক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. এরশাদ আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। ২০১২ সালে মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পলাতক ছিলেন তিনি। এরশাদ ধোবাউড়ার চোরের ভিটা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বারইপাড়া এলাকা থেকে এরশাদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব-১৪ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহাম্মদ জয় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি চৌকস অভিযানিক দল এরশাদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে রাতে রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধ থেকে এরশাদের পরিবারের সঙ্গে ওই তিন কৃষকের পরিবারের শত্রুতা তৈরি হয়। এর জের ধরে ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি সকালে চোরের ভিটা গ্রামের একই পরিবারের তিন কৃষক হরিদাশ সূত্রধর (৩৮), বিমল সূত্রধর (২৫) ও নিরঞ্জন সূত্রধরের (৪০) বাড়িতে হামলা চালান এরশাদ আলী ও তার সহযোগীরা। তারা তিন কৃষককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্য শ্যামল সূত্রধর ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলার বিচারকাজ চলে। পরে ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর আদালত ওই মামলায় এরশাদকে মৃত্যুদণ্ড সাজা দেন। তবে ওই সময় থেকেই এরশাদ পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানিয়েছে, মামলার রায়ের পর দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন এরশাদ। সম্প্রতি ময়মনসিংহ র্যাব মামলার রায় কার্যকরের জন্য তার অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। আদালতে সোপর্দ করার জন্য তাকে ধোবাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর