ধর্ষণ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মুশতাক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২২
ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন মুশতাক আহমেদ। শুনানি শেষে আদালত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি মোখলেছুর রহমান জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরআগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান মুশতাক আহমেদ। উচ্চ আদালত তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে নির্দেশ মতে, মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।
আরও জানা যায়, ভিকটিম এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর অধ্যক্ষ ব্যবস্থা করতেছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে বাদী অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে বলে অভিযোগ করেন।
সারাবাংলা/এআই/ইআ