মন্ত্রণালয় প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই থাকবে এনআইডি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৪
ঢাকা: জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম আপাদত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ের অফিস, লোকবলসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম ইসির অধীনেই থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
জাহাংগীর আলম বলেন, ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের নতুন আইনের দেওয়া আছে, সরকার যখন গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা এ কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ করবে তখন কার্যকর হবে। যতক্ষণ আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এনআইডি কার্যক্রম যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যতদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রস্তুতি (দফতর ও জনবল) সম্পন্ন করে তারিখ নির্ধারণ না করবে ততদিন ইসিই এ কাজ পরিচালনা করবে। এ নিয়ে সমস্যা দেখি না। আমরা তো আইনটা পড়ছি না।’
ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটার তালিকার জন্য পৃথক আইন আছে। ভোটার হাল নাগাদ নির্বাচন কমিশনই করবে। রাষ্ট্রই ইসিকে এনআইডির দায়িত্ব দিয়েছিল। আবার আইন করে নিয়ে যাচ্ছে। আইনের পর এখন বিধিমালা হবে। এরপর অফিস ও জনবল নিয়োগ করতে হবে। এরপর এনআইডি নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’
এনআইডি সার্ভার বন্ধ করার বিষয়ে ইসি সচিব আরও বলেন, ‘কখনো সাট ডাউন হয়ে যায়, কখনো করতে হয়। এটি আগাম জানানো সম্ভব হয় না। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যে সময় সাট ডাউন হতে পারে। যেখানে তথ্য ভাণ্ডার থাকে সেখানেই সাইবার হামলার ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি থাকলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সবার থাকে সুরক্ষার জন্য।’
অনেক সেবাগ্রহীতা থাকায় কোনো আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘ডাটাবেজ একটা, ঝুঁকি তো থাকবেই। বিপদ বা রেগুলার রক্ষণাবেক্ষণ— এ জাতীয় বিষগুলো সব সময় থাকে। যখন যে পরিস্থিতি আসবে, সে অনুযায়ী প্রতিরক্ষা করতে হবে। একটা ব্যাংকের যেমন যেকোনো সময় ঝুঁকি থাকে, তেমন এত বড় ডাটাবেজ আমাদেরও ঝুঁকি আছে। এটা মূল্যবান একটা সম্পদ। এটা প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে।’
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতি রোডম্যাপ অনুযায়ী এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা পিছিয়ে নেই। প্রশিক্ষক তৈরির প্রশিক্ষণ চলছে। গত ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। তারা ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। এরপর আমরা ইউএনও, জেলা নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ কমিশনারদের প্রশিক্ষণ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। চারটা ব্যাচে ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কে হবেন তা এখন সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিলের সিদ্ধান্তও হয়নি। কমিশন বৈঠকে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।’
ভোট বিতর্কিত না করার জন্য বার্তা কী থাকবে— এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটা পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে এটা জানাবে। আমরা টাইম লাইনের মধ্যে ঢুকে গেছি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন যখন যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আমরা কাজ করব।’
সারাবাংলা/জিএস/এনএস