Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অভিবাসী শ্রমিকদের অপার সম্ভাবনা দেখছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স


১৫ মে ২০১৮ ১৩:১৬

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

টাইম ম্যাগাজিনে দেয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সৌদিতে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান। ভবিষ্যতে দেশটির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চালিয়ে নিতে নিশ্চিতভাবে বিপুল পরিমাণ বিদেশি শ্রমিকের দরকার হবে। বিদেশি শ্রমিকদের প্রতি দেশটির সরকার ও জনগণের যে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে সে বিষয়টিই যুবরাজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

কথপোকথনের এক পর্যায়ে সৌদির এই যুবরাজ ও  উপ-প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে দেশটিতে এখন এক কোটিরও বেশি বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। এই সংখ্যা কমবে না, বরং সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়বে।

সালমান বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সৌদি আরবের আরও দক্ষ মানবসম্পদের দরকার হবে। ফলে বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে সৌদি নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি শ্রমিকদেরও দরকার হবে।’

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন ভবিষ্যতের সৌদি আরব বিনির্মাণে যে বিশাল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হবে তাতে দরকার হবে অনেক বিদেশি জনবলের।

তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৌদির অভিবাসী শ্রমিকনীতি নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ভ্রান্ত ও মিথ্যা ধারণা দূর হবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে।

সৌদি আরব বিদেশি শ্রমিকদের প্রতি অসহনশীল ও তাদের পরিবারের ওপর হয়রানিমূলক কর আরোপ করছে, এমন প্রসঙ্গে টাইমকে এই ক্রাউন প্রিন্স বলেন, নতুন এই অর্থনৈতিক প্রচেষ্টা , যাকে আমরা পুনর্গঠন বলছি, এর মধ্য দিয়ে ব্যক্তি ও কোম্পানি পর্যায়ে শ্রমিকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। আমরা আরও বেশি সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়ার কথা বলছি, তবে তার মানে এই নয় অভিবাসী শ্রমিকদের দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে ‘নেশন উইদাউট ভায়োলেটরস’ কর্মসূচি নেওয়ার পর অধিকাংশ অভিবাসীই তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।

তবে সালমান বলেন, এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করে বিদেশিদের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করা। এমনকি যারা অবৈধ শ্রমিক তাদেরও সংশোধিত হওয়ার সুযোগ এই কর্মসূচিতে রয়েছে।

তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং বৈধভাবে কাজের সুযোগ দিতে সরকারের ওই উদ্যোগ দরকার ছিলো। অবৈধ একটি গোষ্ঠীর উপস্থিতি যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য নেতিবাচক। এতে সুযোগসন্ধানী ও কাল টাকার ব্যবসার বিস্তার ঘটে। যা দেশের সামগ্রিক বেকারত্বের হারকেও বাড়িয়ে দেয়।

সৌদি সরকারের নেওয়া ভিশন-২০৩০ এর বহুল আলোচিত বিদেশিদের সবুজ নাগরিকত্বের সনদ দেওয়ার উদ্যোগটি রয়েছে, যা বিদেশিদের প্রতি দেশটির ইতিবাচক ও অভ্যর্থনামূলক মনোভাবের পরিচয় দেয়। অনেক সুবিধার পাশপাশি গ্রিন কার্ড বিদেশিদের স্থায়ী আবাস্থলের নিশ্চয়তা দেবে, বলেন এই ক্রাউন প্রিন্স।

তিনি বলেন, ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়িত হলে সৌদি আরব আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।

বড় উন্নয়ন প্রকল্প এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই ভিশনে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়নের দেশীয় শ্রমিকের পাশপাশি বিদেশি দক্ষ শ্রমিকেরও দরকার হবে। সে জন্যই অভিবাসী ও শ্রমিক নীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে দেশটি।

সারাবাংলা/এমআইএস

সৌদি আরব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর