কমেছে বৈদেশিক অর্থছাড়, বেড়েছে পরিশোধ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৭
ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই (জুলাই) কমেছে বৈদেশিক সহায়তা অর্থ ছাড়ের পরিমাণ। এ মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ৪০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ছাড় হওয়া অর্থের পরিমাণ কমেছে ৮৬৯ কোটি টাকা। তবে বেড়েছে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ। সেইসঙ্গে ব্যাপক চাপ পড়েছে ঋণ পরিশোধে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে, জুলাই মাসে প্রতিশ্রুতি এসেছে ৫ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছর প্রতিশ্রুতির মধ্যে পুরোটাই ঋণ হিসেবে পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য মতে, অর্থবছরের প্রথম মাসে বৈদেশিক সহায়তায় এগিয়ে আছে জাপান। জাপান এক মাসে অর্থছাড় করেছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এর পরের অবস্থানে রয়েছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এক মাসে এডিপি অর্থছাড় করেছে ৭ কোটি ৪ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাশোসিয়েশন ( আইডা) জুলাই মাসে বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে দিয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এ ছাড়া এশিয়ান ইনফ্রাসট্রাকচার ইনভেসমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ছাড় করেছে ৪ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার। ইন্ডিয়া ছাড় করেছে ২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছাড় করেছে ১ কোটি ৯১ লাখ ডলার। তবে চীন ও রাশিয়া অর্থবছরের প্রথম মাসে কোনো অর্থ ছাড় করেনি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশ সুদাসলে পরিশোধ করেছে ২৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ হিসেবে দিয়েছে ১১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এবং আসল পরিশোধ করেছে ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে একই সময় বাংলাদেশ পরিশোধ করেছে ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার, বা প্রায় ১ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ পরিশোধ করেছে ৬ কোটি ৭ লাখ ডলার ও আসল ১০ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম
