জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি ‘মায়ের কান্না’র
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৫
বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্র দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৫৬ জনকে হত্যার অভিযোগ তুলে তার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর টাউন হল মাঠে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
মায়ের কান্নার আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। লেলিনের বাবা ১৯৭৭ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিঞা। সংবাদ সম্মেলনে লেলিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করতেন নিরাপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।
জিয়াউর রহমানের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের কোথায় সমাহিত করা হয়েছে তা বের করা এবং সেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মায়ের কান্না সংগঠনের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সামরিক আদালতে ফাঁসির ঘটনায় বিমান বাহিনীর নিহত সদস্যদের নির্দোষ ঘোষণা, তাদের সঠিক তালিকা প্রকাশ এবং জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারও দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মলেনের আগে রংপুর টাউন হল মাঠে একটি আলোকচিত্র প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু। মায়ের কান্না সংগঠনের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই দাবিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মায়ের কান্না সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা যোগ দেবেন।
সারাবাংলা/টিআর