সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে: রব
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৮
ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে— এটাই সংবিধানে বলা হয়েছে। এই সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নয়। রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসেছে। বর্তমান সরকার অসাংবিধানিক ও অবৈধ। এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধানসম্মত নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম আবদুর রব অনুষ্ঠানে আরও বলেন, সরকার নীলনকশার নির্বাচন আয়োজনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ নেবে না। জনগণ তাদের পদত্যাগে বাধ্য করবে।
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে এখন সরকার বলছে নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে। আওয়ামী লীগের এখন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে একদিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু করতে পারে। কিন্তু সরকার এখন আরেক নীলনকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। আর তাদের সাহায্য করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।’
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সংবিধানকে সরকার ছেঁড়া কাগজের থেকে বেশি কিছু মনে করে না। একে কখনো ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেয়, আবার কখনো বুকে তুলে চুমু খায়। আমাদের এখন আন্দোলন নিয়ে খেলা করার সুযোগ নেই। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে অনতিবিলম্বে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। তাদের কোনো নীতি নেই। আওয়ামী লীগের একটাই ধান্ধা। তারা কোনো নীতিকথা শুনবে না। কারণ তারা সব নীতি বর্জন করেছে। ব্যাংকগুলো খালি করেছে। আগামীতে নির্বাচনে গুন্ডা-হোন্ডা সবই যাবে। তারপর বিদেশিদের দেখাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যে রায়ের কথা বলে আওয়ামী লীগ যুক্তি দেয় সেই রায়ের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছিল— পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ও আদালতের রায় বিকৃত করে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘নাগরিকদের ভোটের অধিকার সংবিধান দিয়েছে। কিন্তু সরকার তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের সংবিধানসম্মত এই অধিকার পদদলিত করছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেনি। প্রধানমন্ত্রী তখন মিথ্যাচার করেছিলেন। আদালত এখানে ভূমিকা নিতে পারতেন। কিন্তু নেননি। এখন একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কিন্তু একতরফা নির্বাচন হতে পারে না, সিলেকশন হতে পারে। ইলেকশন মানেই অনেকগুলো পক্ষ থাকতে হবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
আ স ম আবদুর রব গণতন্ত্র মঞ্চ জেএসডি জোনায়েদ সাকী মাহমুদুর রহমান মান্না