‘পশ্চিমারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে’
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৩
ঢাকা: ১২ দলীয় জোট নেতারা বলেছেন, এ সরকারের প্রতি পশ্চিমাবিশ্বসহ কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন নেই। তারা বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবাধ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ও গণতন্ত্রহীনতার আসন্ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না পশ্চিমা বিশ্ব।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। সরকার পতনের একদফা দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ১২দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম ও বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদার প্রমুখ।
জোট নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্বজাধারী আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্রকে হিমঘরে পাঠায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। অথচ একদলীয় বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
তারা বলেন, দেশে আবারও অঘোষিত বাকশাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দুই বারের মতো এবারও যদি আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ চালানোর সুযোগ পায় তাহলে দেশে পুরোপুরি বাকশাল প্রতিষ্ঠা হবে। দেশ থেকে গণতন্ত্র চিরদিনের জন্য বিদায় নেবে।
নেতারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবে না বলে দম্ভোক্তি করেছিলেন। কিন্তু যখন দেখল পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একদিনের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে নানাভাবে তদবির করে আমেরিকাকে ম্যানেজ করতে সপ্তাহ পার করে দিচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এতে কোনো লাভ হবে না, বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। আপনি এবারে খেলা বন্ধ করুন। জনগণের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে সম্মানজনকভাবে বিদায়ের উপায় বের করুন। আপনার সময় শেষ। আপনি বিনাভোটের নির্বাচনে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস