অপহরণের মিথ্যা মামলা করে দণ্ডিত হলেন বাদীসহ দুইজন
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৯
ঢাকা: অপহরণের মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় বাদী আজম ও তার সহযোগী মিরাজ হোসেনকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -৫ এর বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর স্বপন এ সব তথ্য জানান।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, আজমের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে আবু সাঈদ ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল হাজারীবাগ থানাধীন মাজার রোডের বড় মসজিদ মাতৃপিঠ স্কুলের উদ্দেশ্য বের হয়। এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। এ ঘটনায় তার বাবা হাজারীবাগ থানার সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার ২০/২৫ দিন পর আজমের মোবাইলে ফোন করে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অপহরণকারীরা। না হলে আবু সাঈদকে খুনের হুমকি দেয়। এমন অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন আজম।
মামলা দায়েরের পর আফজাল হোসেন মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম হাওলাদারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (দক্ষিণ) সাব-ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন ভয়-ভীতি দেখিয়ে এ দুই জনকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেন।
২০১৫ সালের ১৫ জুন মামলাটি তদন্ত করে আফজাল, তার বোন সোনিয়া, সাইফুল ও শাহিন বাড়ির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সাব-ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন।
২০১৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২০১৯ সালে আবু সাইদকে উদ্ধার করা হয়। এরপর মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আসামিরা রায়ে খালাস পান।
মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর আবু সাঈদ, তার বাবা আজম, মা মাহিনুর বেগমসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সোনিয়া। আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আজম ও মিরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অপর সাত আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/এআই/একে