Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লিখিত প্রক্সিতে পার পেলেও মৌখিকে এসে ধরা ৭ জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:১৯

সিরাজগঞ্জ: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি নিয়ে পার পেলেও মৌখিকে এসে ধরা পড়েছেন সাত শিক্ষার্থী।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) মৌখিক পরীক্ষা দিতে এলে ওই সাত জনকে আটক করা হয়। পরে সাত পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এ ঘটনায় নিয়োগ কমিটির (সদস্য-সচিব) শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার সাত জন হলেন- সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন (রোল নম্বর- ৩২০০০২৯৮), তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের আবু তাহের সরকারের ছেলে লোকমান হোসেন (রোল নম্বর- ৩২০০২৯০৩), কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম সুজন (রোল নম্বর-৩২০০২৩৯৮), শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের, এলাহী প্রামানিকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (রোল নম্বর- ৩২০০১১৬৮), উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মজিবর রহমান (রোল নম্বর- ৩২০০৪১২৫), কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে হাবিবুল্লা বেলালী (রোল নম্বর- ৩২০০৪৬০৫) এবং উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের হেনা মন্ডলের ছেলে এনামুল হক (রোল নম্বর- ৩২০০৪৩৩৯)।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) অফিস কক্ষে নিয়োগ বাছাই কমিটির মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা হয়। পরে আসামিদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার মিল পাওয়া যায়নি। পরে পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করে তাদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যদের দ্বারা পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়েছেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সাত পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৪১৭, ৪১৯ ও ৪২০ ধারায় ওই সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হলো। প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হল। এই সাত জনের লিখিত পরীক্ষা যারা দিয়েছিল, তাদের সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

টপ নিউজ ধরা প্রক্সি মৌখিক লিখিত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর