পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ছে নির্বাচনের আগেই
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪০
ঢাকা: নির্বাচনের আগেই দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন বাড়ছে। বর্তমানে ন্যূনতম আট হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছেন তারা। শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা করার দাবি রয়েছে। পোশাক কারখানার মালিকরাও মজুরি বাড়ানোর পক্ষে রয়েছেন। তবে বেশ কয়েকজন মালিকই জানিয়েছেন, ন্যূনতম মজুরি ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকার বেশি দেওয়া সম্ভব না।
শ্রমিক ও মালিকপক্ষ যে দাবিই করুক না কেন— শ্রমিকদের মজুরি শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে মজুরি বোর্ডে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপও থাকে। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য বলছে, আগামী নভেম্বরের আগেই পোশাক খাতের এসব শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্য রয়েছে মজুরি বোর্ডের। সেটি হলে পাঁচ বছর পর আবার পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়তে যাচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়েছিল পোশাক শ্রমিকদের বেতন, যা কার্যকর হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।
তথ্য বলছে, এরই মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি পর্যালোচনায় গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর বোর্ডের তৃতীয় সভায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে নতুন মজুরি প্রস্তাব করার কথা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠনগুলো ন্যূনতম মজুরি ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা দাবি করে আসছে। বোর্ডেও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাবনাই দেওয়া হবে।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর বক্তব্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত আর নতুন মজুরি ঘোষণা করা যাবে না। তাই অক্টোবরের মধ্যেই নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবি তাদের। অক্টোবরের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা না হলে শ্রমিকরা নির্বাচন বর্জন করবেন বলেও কোনো কোনো শ্রমিক সংগঠনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকার দাবিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে মহাসমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। ১ অক্টোবর সংগঠনটি নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সামনে অবস্থান নেবে।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের প্রতিনিধি বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করা হচ্ছে। আমরা বোর্ডের সভায় এটি প্রস্তবনা আকারে তুলে ধরব। জীবনযাপনের ব্যয় যেভাবে বেড়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এবার প্রস্তাবনা ভালোভাবেই তুলে ধরা হবে। আর এ বছরই পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়বে। নভেম্বরের মধ্যে মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের কথা রয়েছে।’
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘মজুরি বোর্ডের বৈঠক চলছে। এ বছরই নতুন মজুরি নির্ধারণ হবে। ডিসেম্বরের আগেই পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হবে।’ তবে মালিকপক্ষ ন্যূনতম মজুরি কত প্রস্তাব করতে পারে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি তিনি।
জনতে চাইলে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নভেম্বরের আগেই কাজ শেষ করব। আগামী ১ অক্টোবরের বৈঠকে শ্রমিকদের প্রস্তবনা পাব বলে জানতে পেরেছি। মৌখিকভাবে তাদের পক্ষ থেকে ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করা হচ্ছে। তবে মালিকপক্ষের প্রস্তাব এখনো আসেনি।’
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে ছয় সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা। বোর্ডের নিরপেক্ষ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন। মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের উপমহাসচিব মকসুদ বেলাল সিদ্দিকী। বোর্ডে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ। তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। আর পোশাক শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকদের প্রতিনিধি জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি।
যা বলছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, আমরা ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি করছি। ভিন্ন ভিন্ন মজুরি দাবি না করে আমরা সব সংগঠনকেই এই একই দাবি জানাতে অনুরোধ করেছি। কারণ ২৫ হাজার টাকার কমে এখন একটি পরিবারের পক্ষে জীবনধারণ করা দায়। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর আমরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে মহাসমাবেশ করব। ১ অক্টোবর আমরা মজুরি বোর্ডের সামনেও একই দাবিতে অবস্থান নেব।
জলি তালুকদার আরও বলেন, আমরা নতুন মজুরি কাঠামোতে পাঁচটি গ্রেড করার কথা বলেছি। শুধু শুধু সাতটি গ্রেড রেখে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার মানে নেই। আমরা শিক্ষানবিশ গ্রেডটি উঠিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইলও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একই দাবির কথা জানালেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, এই মজুরি কাঠামো ৯ অক্টোবরের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে। কারণ ৯ অক্টোবর মজুরি বোর্ড গঠনের ছয় মাস শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবরের মধ্যে মজুরি ঘোষণা করা না হলে আমরা শ্রমিকরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেবো। দেশের পোশাক শ্রমিকরা নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন। কারণ অক্টোবরের মধ্যে মজুরি ঘোষণা না হলে আর নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেলে নতুন করে মজুরি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না।
যা বলছেন পোশাক কারখানার মালিকরা
বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম সারাবাংলাকে বলেন, মজুরি কাঠামো সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে। এমন কোনো মজুরি নির্ধারণ করা যাবে না যেটি পোশাক কারখানার মালিকদের ওপর চাপ তৈরি করে। চাপিয়ে দিলে হবে না, বেশি চাপিয়ে দিলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য আমরা বায়ারদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে, পণ্যের দাম বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে ক্রেতাদের প্রতি। নতুন মজুরি নির্ধারণে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
নির্বাচনের আগে মজুরি নির্ধারণ নিয়ে কোনো শ্রম অসন্তোষের আশঙ্কা আছে কি না— জানতে চাইলে শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচনের আগে মজুরি নির্ধারণ করা হচ্ছে, তাই শ্রম অসন্তোষের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বরং এখন না করে আরও আগেই মজুরি নির্ধারণ করা উচিত ছিল। আরও আগে মজুরি নির্ধারণ করলে সব দিক থেকেই ভালো হতো।’
শ্রমিকদের ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিজিএমইএর এই নেতা বলেন, ক্রেতারা পণ্যের দাম এক সেন্টও বাড়াতে চায় না। এখন ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা রয়েছে। আমরা বলব— শ্রমিকদের এমন কোনো দাবি করা উচিত নয় যা পোশাক খাতকে হুমকিতে ফেলে।
নিটওয়্যার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান সারাবাংলাকে বলেন, মালিকদের পক্ষ থেকে এখনো প্রস্তবনা ঠিক করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই আমরা সবাই বসব। আমরা এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে চাই যাতে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ার পাশাপাশি পোশাক শিল্পও টিকে থাকতে পারে। কারণ ক্রেতারা কোনোভাবেই পোশাকের দাম বাড়াতে চাচ্ছে না। তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। দেশের বাইরেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা মালিকদের পক্ষ থেকে ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে মুখ না খুললেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি পোশাক কারখানার মালিক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, তারা ন্যূনতম মজুরি ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা করার পক্ষে আছেন। তিনি বলেন, ‘১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ঠিক আছে। কষ্ট করে হলেও হয়তো ১৩ হাজার টাকা দেওয়া যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই এর চেয়ে বেশি মজুরি বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিএমইএর একজন নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘মজুরি বোর্ড নিরপেক্ষ। তবে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যে দাবি তোলা হচ্ছে সেটি পূরণ করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা। এটি বাড়িয়ে হয়তো ১২ হাজার টাকা করা হতে পারে। এর বেশি মজুরি বহন করা মালিকদের পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না।’
পোশাক শ্রমিকদের বর্তমানের মজুরি
বর্তমানে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা। ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন এই মজুরি ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণা অনুযায়ী, শ্রমিকের মূল বেতন ৪১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১০৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা, যাতায়ত ভাতা ৬০০ টাকা এবং বাকি টাকা খাদ্য ও অন্যান্য খাতে ধরা হয়। এর আগে ২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৩০০ টাকা।
শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর পর পর মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা করতে হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মজুরি কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সে হিসাবে সেপ্টেম্বরেই নতুন মজুরি নির্ধারণের কথা ছিল।
ক্রেতাদের উদ্দেশে বিজিএমইএর চিঠি
দেশে চলতি বছর শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে হবে উল্লেখ করে ক্রেতাদের পোশাকের দাম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। পোশাক খাতের ক্রেতাদের প্রতিনিধি ও ব্র্যান্ডগুলোর উদ্দেশে লিখিত এক চিঠিতে এ কথা বলেন ফারুক হাসান।
মজুরি বৃদ্ধির আগের ধারা ও গত পাঁচ বছরের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির সাপেক্ষে এবার মজুরি বেশ ভালোই বাড়বে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। বলেন, বিশ্বের সবখানেই এখন মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এ পরিস্থিতিতে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের জন্য মজুরি পর্যালোচনা করছে। তবে এই বোর্ড স্বাধীন। সেখানে শ্রমিক, মালিক ও স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের সমান প্রতিনিধিত্ব আছে। মজুরি বোর্ড স্বাধীনভাবে কাজ করে। এ কারণে আমার পক্ষে অনুমান করা কঠিন, মজুরি কত বাড়বে।
চিঠিতে বৈশ্বিক পরিস্থিতিরও আলোকপাত করেছেন ফারুক হাসান। তিনি বলেন, পণ্য উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে ক্রেতা— সবাই এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতির হার অভূতপূর্ব উচ্চতায় উঠে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। এতে সমাজে অর্থের প্রবাহ কমে যাচ্ছে, কমছে পণ্যের চাহিদা। একদিকে খুচরা বিক্রির পর্যায়ে সরবরাহব্যবস্থা ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে উৎপাদকরা ‘দুঃস্বপ্নের’ মতো পরিস্থিতিতে পড়ে গেছেন। এতে তাদের পক্ষে নিজেদের সক্ষমতা, সরবরাহ, পরিকল্পনা ও পূর্বাভাস— সবকিছু ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
একইসঙ্গে শ্রমিকদের জীবনমান ও মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় ক্রেতাদের প্রতিও পোশাকের দাম বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ফারুক হাসান। যেসব ক্রয়াদেশের পোশাক চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজীকরণ করতে হবে, সেই সব পোশাকের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর