বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জে রয়েছে: জন ফে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫২
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জে রয়েছে। যেমন মুনাফা প্রত্যাবাসন সমস্যা, মেধা সম্পত্তি অধিকার, ডেটা সুরক্ষা আইন এবং লজিস্টিক পরিষেবার চ্যালেঞ্জ। এ সময় তিনি বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা, আইসিটি এবং শিক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-ইউএসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ।
জন ফে বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়, তা কমানো সম্ভব। তবে তার জন্য শর্তগুলো পালন করতে হবে।’ এ ছাড়াও তিনি শ্রম আইন সংস্কার এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়া জিএসপি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সমিতির স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য উন্নতির সুপারিশ করেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে দুই দেশের বাণিজ্যের কোনো প্রভাব পড়বে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমএইর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ২০২৬ সালে এলিডসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছি। এলডিসিভুক্ত দেশ হলেও যাতে আমাদের আরও ছয় বছর জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস, অথবা জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়- আমরা এজন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বাজারে আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। আমরা আগামী ছয় বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা চাচ্ছি। পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সম্মেলনেও যাতে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়ে মতামত দেয় সেজন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
মুল প্রবন্ধে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মার্কিন সরকার দেশটির আমদানি করা তুলা থেকে তৈরি পোশাক রফতানির ওপর শুল্ক মওকুফ করলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সুতি পোশাক রফতানি বার্ষিক ৪০ কোটি ডলার থেকে ৮০ কোটি ডলার বাড়তে পারে। একই সময়ে, এই ধরনের সুবিধার মাধ্যমে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরে বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলারের তুলা রফতানি করতে পারে।’
ইআরএফ’র সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএম) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএ সভ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান ও শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামস মাহমুদ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম