আরসা নেতা মুসাসহ ৪ জন গ্রেফতার, বিস্ফোরক-অস্ত্র উদ্ধার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৯
কক্সবাজার: উখিয়ায় অভিযান চালিয়ে আরসা’র শীর্ষ কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছাসহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ কেজি ৩১০ গ্রাম বিস্ফোরক, ম্যাগজিনসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি বন্দুক ও ৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। গত মঙ্গলবার রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলীর পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে মো. শফিক ও মো. সিরাজ নামের ২ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে র্যাব। পরে আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ কেজি ৫৩০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এরপর একই তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির শীর্ষ কমান্ডার ও উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসু।
এসময় তাদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৬ কেজি ৭৮০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। উদ্ধার করা বিস্ফোরক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ক্লোরেটস, ব্রোমোটস, পটাশিয়াম ও হেক্সামিথাইলিন টেট্রামাইন জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য।
র্যাব জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা ও শামছুল আলম ওরফে শামসু আরসা’র শীর্ষ নেতা এবং অপর দু’জন বাংলাদেশি নাগরিক ও আরসা’র সন্ত্রাসী দলের সহযোগী।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতর রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা বোমা তৈরি ও অস্ত্র চালনায় পারদর্শী হওয়ায় আরসা’র গান কমান্ডার ও ঘোনারপাড়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জিম্মাদারের দায়িত্ব পায়। সে আরসা’র সদস্যদের বোমা তৈরি ও অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণও দিত। রহিমুল্লাহর সঙ্গে আরসা’র প্রধান আবু আম্মা জুননীসহ শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার অন্যদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা সংঘাত ও সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফ থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
সারাবাংলা/এমও