চসিকের সভায় সিএমপির বিরুদ্ধে মেয়র-কাউন্সিলরদের ক্ষোভ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভায় নগর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন কাউন্সিলররা। এতে সায় দিয়েছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে চসিকের ৩২তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চসিকের এক কাউন্সিলর সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও যত্রতত্র হকার বসার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে জনদুর্ভোগও বাড়ছে। পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কিনা এই প্রশ্ন রাখেন ৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা ও হকারদের কাছ থেকে পুলিশ বড় অংকের টাকা পায় বলেও দাবি করা হয় সভায়। এ সময় অন্যন্য কাউন্সিলররাও তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। তারা নগরীতে আদৌ ট্রাফিক বিভাগ আছে কিনা প্রশ্ন রাখেন। সভায় পুলিশের একজন কর্মকর্তাও ছিলেন।’
এদিকে, ট্রাফিক বিভাগকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ফুটপাথ দখলের পর হকাররা এখন রাস্তাও দখল করছে। চসিক পরিস্থিতির উন্নয়নে উচ্ছেদ চালাচ্ছে। বর্তমানে ব্যাটারিচালিত রিকশায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রেনিং, লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে এ গাড়িগুলো চালান চালকরা। হয় এগুলোকে বন্ধ করে দেন, না হলে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এদের নিয়ন্ত্রণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হওয়া থেকে বাঁচাতে সবগুলো সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে, সমন্বয় করতে হবে। ওয়াসার যে সুয়ারেজ প্রকল্প তা চসিকের সাথে সমন্বয় না করলে ফলপ্রসু হবে না। আজকের এ সভায় ওয়াসার কোনো প্রতিনিধি নেই। যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকছে তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।’
চসিক মেয়র বলেন, ‘টানেল চালু হলে শহরে গাড়ির চাপ আরও বাড়বে। যানজট কমাতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে হবে এবং রিকশার মতো ধীরগতির বাহনের লাগাম টানতে হবে। কলকাতার মতো ঘিঞ্জি শহরে পে-পার্কিং চালু করা গেলে, চট্টগ্রামে করতে ট্রাফিক বিভাগের আপত্তি কোথায়? পে-পার্কিং করতে গেলে সেখানে বাধা, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেতো কোনো বাধা দেখছি না।’
সিডিএ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘নগরীতে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না। রাস্তা হলো আট ফিট, বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে আটতলা বা ১০ তলার। একেকটা বিল্ডিং-এ একেকটা গ্রামের পরিমাণ লোক বসবাস করছে। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে চসিক থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে। ফায়ার ব্রিগেড থেকেও অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’
সভায় চসিকের প্যানেল মেয়র, সচিব, কাউন্সিলর, বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম