‘ক্ষমতা না ছাড়লে সরকার পার পাবে না’
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৯
ঢাকা: ‘ক্ষমতা না ছাড়লে সরকার এবার আর পার পাবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টন কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপি আয়োজিত মিলাদ মাহফিলপূর্ব আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
রিজভী বলেন, ‘আপনি (ওবায়দুল কাদের) ৩৬ দিন পরে লেলিয়ে দেবেন। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়া জনগণ কিন্তু ওবায়দুল কাদের আপনার কে যুবলীগ, কে ছাত্রলীগ কে কত অস্ত্র নিয়ে আসল ওটা আর দেখবে না। জনগণে উত্তাল যে টেউ, এই টেউয়ের কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র, কোনো অস্ত্র টিকতে পারে না। এই টেউয়ের মধ্যে প্লা্বতি হয়ে যাবে আপনার যুবলীগ, ছাত্রলীগ; আপনাদের তৈরি করা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনেকবার পার পেয়ে গেছেন। এবার আর পার পাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে আপনারা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিন, পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এই তিন মাস নির্বাচনের জন্য প্রতিষ্ঠা করুন। না হলে অনেকবার পার পেয়ে গেছেন। হত্যা করে, ক্রসফায়ার করে, গুম করে পার পেয়েছেন। এবার কিন্তু আর পার পাবেন না, এবার পার পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
‘কে ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক), কে আনিসুল হক (আইনমন্ত্রী), কে হাছান মাহমুদ (তথ্যমন্ত্রী) এটা কিন্তু জনগণ আর দেখবে না। পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করুন’- রুহুল কবির রিজভী।
‘৩৬দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি বিএনপিকে। এই ৩৬দিন বিএনপিকে দাঁড়াতে দেব না’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি ছাত্র নেতা ছিলেন, আপনি রাজনীতিবিদ একটি দলের। কিন্তু আপনি তো আপনার সন্ত্রাসীদের নেতা। আপনার বক্তব্য থেকে বেরিয়ে আসে তাই বিএনপি সঠিক পথে না আসলে ৩৬ দিন পরে দেখে নেবেন। যুবলীগ, ছাত্রলীগকে নামাবেন।’
‘সঠিক পথ কোনটা? আপনাদের পথ। আমরা তো জানি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের আঘাত করা, তাদের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া, বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর উপুর্যপরি আঘাত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য নিয়ে ছাত্রলীগ একে অপরকে হত্যা করা এগুলো তো আপনাদের সঠিক পথ। আমরা এই সঠিক পথ তো চিনি না’- বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিনি কীভাবে গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হয়, কীভাবে সংবাদপত্রের নিশ্চিত করতে হয়, আমরা জানি মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হয় সেগুলো জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
মিলাদ মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল খালেক, আবদুল বারী ড্যানি, উলামা দলের আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ নেছারুল হক, সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ