Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, মেলায় ছাড় না পেয়ে হতাশ অনেকে

ওমর ফারুক হিরু, কক্সবাজার
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:১৯

কক্সবাজার: টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। উৎসবের এ নগরীতে প্রায় দুই লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। হোটেল-মোটেলগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি রুম বুকিং রয়েছে।

সমুদ্রসৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের তিন কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। তাদের কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে, কেউ পরিবার নিয়ে। ভ্রমণপিপাসুদের কেউ সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাঘুরি করছেন, কেউ বিচ বাইক, জেটস্কি ও ঘোড়ায় চড়ে সময়টা উপভোগ করছেন। কেউ সাগরের নীলজলে গোসল করছেন আবার কেউ সমুদ্র ও প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখছেন।

বিজ্ঞাপন

শুধু সমুদ্রসৈকত নয়, পর্যটকরা ছড়িয়ে পড়েছেন জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোতে। পর্যটকরা প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ইনানীর পাথুরে সৈকত, হিমছড়ি ঝর্ণা, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, শহরের বার্মিজ মার্কেট, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও রামুর বৌদ্ধ বিহার ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাত দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁ, গণপরিবহন ও উড়োজাহাজসহ ১৫টি খাতে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এসব ছাড়ে কক্সবাজারে এসে হতাশ হয়েছেন অনেকে।

তারা বলছেন, একাধিক হোটেল-মোটেলে গিয়ে কোনো ছাড় পাইনি। উল্টো কক্ষ খালি নেই বলে বেশি দাম নিয়েছেন হোটেল মালিক। একই অবস্থা খাবার হোটেলেও। তবে নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুশি পর্যটকরা।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা নুরুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, পর্যটন মেলা আর টানা তিন দিনের ছুটি দেখে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছি। খুব ভাল লাগছে। তবে মেলা উপলক্ষে যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছে তা অনেক জায়গায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে একটু নজর দেওয়া দরকার।

সিলেট থেকে আসা আরেক পর্যটক তানবিরুল ইসলাম বলেন, এবারে ঘুরতে এসে খুবই ভাল লাগছে। কারণ মেলা উপলক্ষে বাড়তি প্রাপ্তি ছিল। রেডিয়েন্ট ফিস ওর্য়াল্ড সহ কয়েকটিতে ছাড় পেয়েছি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে যে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা তা সঠিক নয়। এছাড়া অনেক আবাসিক হোটেলে ছাড় দেওয়াতো দূরের কথা উল্টো বাড়তি দাম রাখছে।

আরেক পর্যটক লাইলা আক্তার জানান, তিনি পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। তিনি আবাসিক হোটেল ও রেস্তুরায় দুইটিতে’ই ছাড় পেয়েছেন। এবারের ভ্রমণটা তাদের খুবই ভাল লেগেছে।

তবে ছাড় না দেওয়ার প্রসঙ্গে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা।

বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (কক্সবাজার শাখা) রাশেদুল ইসলাম ডালিম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন সরকারি ছুটি থাকায় অনেকে মেলা উপলক্ষে ছাড় ঘোষণার আগেই হোটেল কক্ষ বুকিং দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তারা ছাড়ের অফারটি পাননি।

তিনি বলেন, ছাড়ের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেটি আমরা দিচ্ছি। হয়তো গুটি কয়েক হোটেল ব্যবসায়ী পর্যটক সমাগমকে কেন্দ্র করে অসদুপায় অবলম্বন করতে পারেন। আর খাবারের যে দামের অভিযোগ; এটা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাজ।

পর্যটকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার শেহেরীন আলম জানান, টানা ছুটি ও পর্যটন মেলাকে ঘিরে আগত লাখো পর্যটকের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে সার্বিক ব্যবস্থা রয়েছে। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এনইউ

অফার কক্সবাজার ছাড় ঢল পর্যটক পর্যটন মেলা

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর