Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা বিএনপির কারো নাই: শেখ পরশ

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৯

ঢাকা: যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা বিএনপির কোনো নেতার নেই। বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সংকটের গভীরতার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা ওয়াকিবহাল নন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করবে এবং এই কাজ একমাত্র শেখ হাসিনার সাহসী দক্ষ নেতৃত্বই সম্পন্ন করতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে রাজধানী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন শেখ ফজলে শামস পরশ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আওয়ামী লীগের  আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সঞ্চালনা করেন- যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায়বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না, একটা মর্যাদাশীল দেশও পেতাম না এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হত না। আমরা এখন গর্ব করে বলি যে, এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন টাকা বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের নেত্রী, শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এখন কেবল কথার ফুলঝুরি না, বাস্তবতা। তার দক্ষতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা, উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক এবং অগ্রসর রাষ্ট্রনায়ক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, অতএব, বিএনপি নেতাদের বলব, ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সা পরিহার করেন এবং যোগ্যতা বাড়ান। প্রতিযোগিতায় আসেন। ভোটে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। যোগ্যতার মাপকাঠিতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর দক্ষতা অর্জন করুন। নিশ্চয়ই অনুকম্পা করে, বা সমঝোতা করে আপনাদের গদিতে বসানো হবে না। বিদেশিদের কাছে নালিশের রাজনীতি করেও কোনো লাভ হবে না, বরং নিজেদের যোগ্যতা বাড়ান।

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এমন এক নেত্রীকে অনুসরণ করি যিনি আজীবন ধরে এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রজন্মকে তার কাছ থেকে ত্যাগের দীক্ষা নিতে হবে। আমি আশা করি, এদেশের যুবসমাজ জননেত্রীর দেখানো পথ অনুসরণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সর্বদা সোচ্চার থাকবে এবং প্রয়োজনে প্রতিবাদী থাকবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা কাদের ভয় দেখায়। ওদের কি কোন আক্কেল নাই। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগই যথেষ্ট। যুবলীগকে দেখলে ভয়ে শয়তানও পালিয়ে যায়, আবার আপনাদের মত শয়তানরা এক দফার ভয় দেখান।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। কিভাবে মানুষের অধিকার আদায় করতে হয় সেই দীক্ষা শেখ হাসিনা দিয়েছেন। শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ধ্বংস করতে চায়। ’৭৫-এর ঘাতকচক্র ও ২০০৪ সালের খুনিরা এক ও অভিন্ন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনের নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কাজ ও তথ্যবহুল চিত্র যদি তুলে ধরতে পারেন তাহলে মানুষের মনোজগতে বড় ধরণের পরিবর্তন নিয়ে আসা যাবে। স্লোগানের পাশাপাশি বিপ্লবী পরিবর্তনের পাশাপাশি, তথ্যবহুল বক্তব্যই হবে আমাদের আগামী দিনের হাতিয়ার।

সঞ্চালকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন,

সভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর