‘আগে ডাকাতরাও ভয় পেত, এখন রক্ত ঝরাতেও দ্বিধা করে না’
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০৫
ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে এখন সবাই অবগত। আগে ডাকাতরাও হাক্কানি ওলামাদের ভয় পেত, এখন জেলে বন্ধি করতে, হামলা করতে এমনকি রক্ত ঝরাতেও দ্বিধা করে না।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিউটশন মিলনায়তনে ‘জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ’ আয়োজিত জাতীয় ওলামা মশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে নুরুল হুদা ফয়েজীকে সভাপতি, মাওলানা গাজী আতাউর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মাওলানা রেজাউল করীম আবরারকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, ‘ওলামা মশায়েখদের শক্তিশালী একটি সংগঠন থাকা দরকার। এই প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন হলো- জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ। শেষ নবীর পরে সমাজ নষ্ট হলে নবীওয়ালা সমস্ত কাজ ওলামাদের করতে হবে। পরিপূর্ণ দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে বাধা এলে তা মোকাবিলায় ওলামা মশায়েখ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করার দায়িত্ব ওলামায়ে কেরামের।’
দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। ভোট ও খাদ্যের সংকট নিয়ে সকলে চিন্তিত। আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে দূরত্বের কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নায়িকা-গায়িকারা যদি আইন প্রণয়ন করে, তাহলে রাষ্ট্রের কল্যাণ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাতটি শিক্ষা কমিশন হয়েছে। এই কমিশনে কেন একজন আলেম রাখা হয়নি? শিক্ষা কারিকুলামে মুসলিম চেতনাবিরোধী বিষয় সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাই এই ইসলামবিরোধী সিলেবাসের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করেছেন। এখনও ইসলামবিরোধী বিষয় সিলেবাসে যুক্ত আছে। ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থ্যা চালু থাকলে হাফেজ-আলেম তৈরি হবে না। কুরআন শিক্ষা হবে না। আমাদের আত্মশুদ্ধি ও আত্মসমালোচনা করা দরকার।’
ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ সাড়ে চার মাস চলবে। তার পরে কি বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে? এই মুহূর্তে আমাদের চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে। সুষ্ঠু অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে আমরা হাতপাখাকে নির্বাচিত করতে ঘাম ঝরাব। আর যদি প্রহসনের নির্বাচন হয় তবে ময়দানে নেমে তাজা রক্ত দিয়ে শহিদ হবার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
মুফতি ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, ‘যে দিকে তাকাই সেদিকেই দেখি পেঁচা, দুর্নীতি ও আবর্জনা। এখন দেশের মানুষ যাবে কোথায়? সাধারণ মানুষকে আলেমদের সাথে সংযুক্ত করছে চরমোনাই পীর সাহেব।’
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বগুড়া জামিল মাদরাসার মোহাদ্দিস মাওলানা আবদুল হক আজাদ, খুলনা দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশতাক আহমদ, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক, মাওলানা ড. বেলাল নূর আজিজী, মুফতি আবদুর রাজ্জাক কাসেমী, বাহাদুরের সাহেবজাদা হাফেজ হানজালা মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম