Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু সেপ্টেম্বরে

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০৯

ঢাকা: এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গুর প্রকোপ পাওয়া গেছে সবচেয়ে বেশি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল দেশের ইতিহাসে সবচাইতে বেশি। শুধু তাই না, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এর আগে কোনো মাসে এতো বেশি রোগীর মৃত্যু দেখা যায়নি বাংলাদেশে, যা সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বরে দেখা গেছে।

এর আগে দেশে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৮১ জন। চলতি বছরের আগস্টেই মারা গেছেন ৩৪২ জন। তবে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯৬ জন।

সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন। তবে সেপ্টেম্বরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে সেই সংখ্যাকেও। এই মাসে দেশে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যায়ও আগস্টকে পেরিয়েছে সেপ্টেম্বর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, আগস্টে ডেঙ্গু মৃত্যু হয়েছিল ৩৪২ জনের। সেখানে সেপ্টেম্বরে ৩০ দিনে দেশে ৩৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে।

২০০০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২২ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মোট মৃত্যু হয়েছিল ৮৫৩ জনের। অন্যদিকে কেবল ২০২৩ সালেই এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৯৮৯ জন। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ও ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দেশের সব সরকারি ও রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোত তথ্য যোগ হলে এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেত সেপ্টেম্বরেই।

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের পূর্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে। তবে ২০২২ সালে অক্টোবর পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু।

চলতি মৌসুমে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, গত জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি মানুষ জুলাইয়ে আক্রান্ত হয়। আর আগস্টে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে জুলাইয়ের চাইতেও ১ দশমিক ৬৪ গুণ বেশি। মৃত্যুর দিকেও জুলাইয়ের তুলনায় ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি মানুষ মারা গেছেন আগস্টেই। তবে এই সব পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে গেছে সেপ্টেম্বরের তথ্য।

সেপ্টেম্বরে আগস্টের তুলনায় ১ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি রোগী মারা গেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই ছিল ভয়ঙ্কর মাস। তবে এটা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়ে ফেলে আগস্টেই। সেপ্টেম্বরেও যে পরিসংখ্যান দেখা গেছে তা ছিল আরও বেশি ভয়ঙ্কর। এমন অবস্থায় মশানিধন কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা করা না গেলে অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিধনের কোনো বিকল্প নেই। দ্রুত মশা নিধনের জন্য ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে হবে। উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে অন্তত পরিস্থিতি কিছুটা ভালো করা যেতে পারে। এমন কিছু করা না গেলে পরিস্থিতি হতে পারে ভয়াবহ।’

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ

অন্যান্য বছরগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি ছিল ঢাকা শহরে। তবে এ বছর ঢাকার বাইরের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। সেপ্টেম্বরের যে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ২০১ জন। বাকি ৫৪ হাজার ৩৯৭ জনই ঢাকার বাইরের।

আক্রান্তের সংখ্যা ঢাকার বাইরে বেশি হলেও অবশ্য ডেঙ্গুতে মৃত্যু এখনো ঢাকাতেই বেশি। সেপ্টেম্বরে এখন পর্যন্ত যে ৩৯৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯৫ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যানে নারীদের সংখ্যাও বেশি পাওয়া গেছে। সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে নারীর সংখ্যা ২১২ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো বাকি ১৮৪ জন পুরুষ।

ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির পেছনে মশা নিধনে সমন্বিত উদ্যোগ না থাকাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। শরতের এই সময়ে এসেও নিয়মিত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে তাদের।

পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রোগীর যে সংখ্যা দেখা গেছে তা উদ্বেগজনক। তাই সামনের দিনগুলোতে সবাই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘হটস্পট ব্যবস্থায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ডেঙ্গু রোগী যেসব এলাকা থেকে বেশি আসে, সেখানে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। দরকার হলে সেখানে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। তা হলে এক রোগী থেকে অন্য রোগী আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। যদি এমনটা না হয় তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার সব জায়গায় ডেঙ্গু রোগীর হার সমান নয়। যেসব এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি, সেখানে মশক নিধনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মাইকিং, জনসচেতনতা, ওষুধ ছিটানো— সবকিছু একসঙ্গে করতে হবে। এমনটা না করতে পারায় এখন পর্যন্ত জ্যামিতিক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু।’

এমন পরিস্থিতি কেন?

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘ডেঙ্গুর বাহক যে এডিস মশা, তাকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে তো ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটতেই থাকবে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূলের জন্য সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে যে একটি সুসমন্বিত অভিযানের দরকার, সেটা আসলে পরিকল্পনাও করা হয়নি, শুরুও করা হয়নি। যে ওষুধ, মাঠপর্যায়ে সেটা কতটা কার্যকর, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সব মিলিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার, ডেঙ্গুর বাহক যে এডিস মশা, সেটা দমন বা নির্মূল করার ব্যর্থতার জন্যই মূলত ডেঙ্গুর এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘অক্টোবরেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকবে। হয়তো ডেঙ্গু অনেক বেশি বাড়বে না, আবার অনেক কমে যাবে বিষয়টি এমনও নয়। বর্তমান ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে কিছুটা কম বেশি অথবা কাছাকাছি থাকতে পারে।’

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘আমাদের ডেঙ্গুর উৎস ধ্বংস করতে হবে। ডেঙ্গুর যে প্রজনন হচ্ছে সেগুলোকে যদি ধ্বংস করতে না পারি, তাহলে এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সবাইকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্পৃক্ত হতে হবে। প্রত্যেকটা বাড়ির মালিককে নিশ্চিত করতে হবে তার বাড়ির কোথাও কোনো পানি জমে থাকবে না। এটা যদি আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে এডিস মশার বংশ কমে যাবে। মশার বংশ কমে গেলেই ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, অন্যথায় এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন।’

ধ্বংস করতে হবে মশার প্রজননক্ষেত্র

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ডেঙ্গু যখন কোনো কমিউনিটিতে প্রবেশ করে, তখন তাকে একেবারে নির্মূল করা যায় না। যেহেতু সামনে আরও নগরায়ণ হবে, আরও উন্নয়ন হবে, আমাদের আগেভাগে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।’

জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বেনজির আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু যে দেশে ঢোকে, সেখান থেকে বের হয় না। কিন্তু একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদের দেশে দুই যুগের বেশি সময় ধরে এর নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজ করা হয়নি। ২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এর নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আর তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি একটি সঠিক কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে।’

অক্টোবরেও থাকবে আতঙ্কের ধারাবাহিকতা

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বেই হঠাৎ তাপদাহ বা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। তাই সারা বছরই ডেঙ্গু থাকবে। তবে বর্ষার শুরু এবং শেষে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। তাই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ংকর। তবে মনে রাখতে হবে ২০২২ সালে অক্টোবরেও কিন্তু সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা দেখতে হয়েছিল। তাই সামনের মাসগুলোকেও হেলা করার কোনো সুযোগ নেই।’

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে কমবে। যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, সংক্রমণ আগস্টে শীর্ষে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এবারের সংক্রমণকে ডেঙ্গুর দ্বিতীয় ঢেউ বলা যায়। কারণ গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নভেম্বর-ডিসেম্বরের পর একটু কম ছিল। চলতি বছর মার্চ থেকে বাড়তে শুরু করে।’

‘মশা মারতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে’

সারাদেশে এডিস মশা মারতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘শুধু ঢাকা নয়, ডেঙ্গু যতটা মেডিকেল প্রবলেম, তার থেকে বেশি ইউনিভার্নমেন্টাল প্রবলেম। যে জায়গায় পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বেশি জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি হেলথ এবং পাবলিক হেলথ এক নয়। পাবলিক হেলথ হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করে মশা নিয়ন্ত্রণ করা। এগুলো যদি আমরা বৃদ্ধি করতে না পারি, ডেঙ্গু রোগী যদি এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, আমাদের জন্য ডিফিকালট হয়ে যাবে। জরুরি ভিত্তিতে মশা নিয়ন্ত্রণে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম, যারা এই সমস্ত কাজ (মশা নিয়ন্ত্রণ) করছেন, তারা যদি এই কাজগুলো আরও বেশি বৃদ্ধি করেন, যেভাবে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা কমানো যাবে এবং ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাও যথাযথভাবে দেওয়া যাবে।’

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর আরও বলেন, ‘সারাদেশেই বর্তমানে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এখন ঢাকা সিটির পাশাপাশি ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা বেশি। এডিস মশা যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হবে।’

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

ডেঙ্গু ডেঙ্গুর প্রকোপ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর