ছিনতাইয়ের মামলায় হাজিরা দিয়ে ঘটায় আরেকটি
১ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের একটি ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রেফতার তিনজন ছিনতাইয়ের অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যান। সেখানেই তারা আরেকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরদিন প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ওই ঘটনা ঘটান।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর-পশ্চিম) উপ কমিশনার মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- নুরুল হক সজিব (৩৩), মো. মহিউদ্দিন (৪২) ও মো. রায়হান (২৮)।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন নামে অবসরে যাওয়া এক সরকারি কর্মকর্তা স্ত্রীকে নিয়ে পেনশনের টাকা তুলতে নগরীর পাহাড়তলীতে ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় যান। পেনশনের ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে তিনি একটি বাজারের ব্যাগে নেন। ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে তিনি যখন ব্যাংক থেকে বের হন, তখন একটি সিএনজি অটোরিকশায় তিনজন এসে সেটা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
রোববার (১ অক্টোবর) সকালে নগরীর মনসুরাবাদে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ কমিশনার আলী হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর মহিউদ্দিনের অবস্থান শনাক্ত করে প্রথমে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার তথ্যে সজীব ও রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এরমধ্যে সজীব থেকে নয় লাখ, মহিউদ্দিন থেকে দুই লাখ ও রায়হান থেকে ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রায়হানের বিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর)। ভাগে পাওয়া ছিনতাইয়ের বাকি টাকা দিয়ে সে বিয়ের কেনাকেটা করেছে।
গ্রেফতার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, ‘তাদের নেতা সজীব। ছিনতাইয়ের জন্য সিএনজি অটোরিকশাও সজীব নিয়ে এসেছিল। তাদেরকে আমরা এক বছর আগেও ছিনতাই করার অপরাধে গ্রেফতার করেছি। সেই মামলায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে এসে আবার তারা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে পরদিন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে সজীবের বিরুদ্ধে আটটি মামলা, রায়হানের বিরুদ্ধে চারটি ও মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোলায় ছয়টি মামলা আছে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/আইসি/ইআ