দুর্গোৎসবে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রুখতে সব দলের ঐক্যমত জরুরি
১ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:০২
ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শারদীয় দুর্গোৎসবে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রুখতে সরকারি ও বিরোধী দলগুলোর ঐক্যমত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
রোববার (১ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসবের আগে সারাদেশে মূর্তি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। যারা গণতন্ত্রের পথ রুখে দাঁড়ায়, ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করে, তাদের প্রতিহত করতে হলে সরকারি দল, বিরোধী দল ও প্রশাসনের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা দেখতে চাই। নতুবা গণতন্ত্রের বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তার ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির রক্ষাসহ পাঁচ দফা যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে, তার কোনোটি গত সাড়ে চার বছরে বাস্তবায়ন করেনি ক্ষমতাসীন দলটি। গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এসব দাবি বাস্তবায়নে রাজপথে আন্দোলন করছে।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কার্যকরী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বাস্তবায়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। চলতি সংসদের শেষ অধিবেশনে বৈষম্যবিলোপ আইন, দেবোত্তর সম্পত্তি আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে আশা করছি। তবে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়রসহ সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি বরুণ চন্দ্র সরকার, শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রতন চন্দ্র পাল, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপ্না বিশ্বাস, এ্যাড. অপূর্ব ভট্টাচার্য্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রাণী প্রামাণিকসহ অনান্যরা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ