Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মনোহরদীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা


১৫ মে ২০১৮ ১৮:০৯

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

নরসিংদী: মিয়াজ টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরুসহ দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (১৪ মে) দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সাহাদাত হোসেন ফকরুল।

মামলার এজাহার ও তদন্ত কর্মকর্তার আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মিয়াজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ব্যবসা পরিচালনার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরুর মাধ্যমে মনোহরদীর পাঁচকান্দি এলাকার মোখলেছুর রহমান লিবিয়ার ৩৮০টি ভিসা আদান-প্রদান সংক্রান্ত একটি ব্যবসায়িক চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মোখলেছুর রহমান ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করে মিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া বিভিন্ন সময় মোখলেছুর রহমানকে মোট ১ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন। পরে লিবিয়ায় কর্মী নেওয়া কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেলে মিয়াজ উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান ও মোখলেছুর রহমানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করেন।

এজাহারে বলা হয়, এ বিষয়ে বিবাদীদের উকিল নোটিশ পাঠানো হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। পরে মিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত তদন্তের জন্যে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিলে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ছাদেক মিয়া তদন্ত করে এর সত্যতা পান, যা আদালতে গত বছরের ১৭ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আদালত উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু ও মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু বলেন, ‘মিয়াজ টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক মিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে পাঁচকান্দি এলাকার মোখলেছুর রহমানের লিবিয়ার ভিসা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এতে আমাকে মৌখিকভাবে একবার সাক্ষী রেখেছিল। আমি তো কারও সঙ্গে লেনদেন করিনি। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূইয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। গ্রেফতারি পরোয়ানার কোনো কাগজও আমার হাতে আসেনি।’

সারাবাংলা/টিএম

* দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর