দুর্যোগ অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মবিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪৬
ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মবিনুর রহমান মুরাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মবিনুর রহমান পিআইও সমিতি’র সভাপতি হওয়ায় সারাদেশের পিআইওদের অর্থের বিনিময়ে বদলি ও সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তার পছন্দের মনোনীত ঠিকাদাররা টেন্ডারে কাজ না পেলে অন্য ঠিকাদার দিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে কাজ বিক্রি করতে বাধ্য করান। সহকারী প্রকৌশলী হয়েও ওই অধিদফতরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী হয়েও প্রকল্পের নির্মাণ কাজের প্রতিটি বিল থেকে ৩ শতাংশ কমিশন নিয়ে থাকেন। কমিশন ছাড়া তিনি কোনো কাজের ছাড়পত্র দেন না।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ৪৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে উত্তরার ১৪ নং সেক্টরের ১৯ নং রোডে ৩৮ নং বাড়িতে ১২৩০ স্কায়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এ ছাড়া উত্তরার ১২ নং সেক্টরের ১ নং রোডের ৬৪ নং হাউজে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার দুইটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। যার একটি হাইব্রিড গাড়ি, যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-১৬২৭০১। এ ছাড়াও লঙ্কা বাংলা ক্রেডিট কার্ডে প্রতি মাসে তিনি এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিল দেন। এছাড়া স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের নামে রয়েছে কোটি টাকার ইন্স্যুরেন্স। নিজ এলাকায় নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক মবিনুর রহমান মুরাদ।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, তার স্ত্রীর নামে ময়মনসিংহ শহরে রয়েছে প্রায় ৪৭ শতাক জমি। যার দাম কয়েক কোটি টাকা। এ ছাড়া তিনি উত্তরার ডায়নামিক ক্লাবের সদস্য। অভিযোগ আছে, তিনি ওই ক্লাবে প্রায়ই মদ ও নারী নিয়ে অনন্দে মেতে ওঠেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কৃষক বাবার সন্তান হলেও এলাকার বিভিন্ন সভা সমাবেশে তিনি অর্থ ব্যয় করেন। এ জন্য এলাকায় তিনি ‘দানবীর’ নামে পরিচিত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মবিনুর রহমান মুরাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সারাবাংলা/একে