বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টিসিবি পণ্য আত্মসাতের অভিযোগ
২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০১
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুরের থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
থেতরাই ইউনিয়নের ৭, ৮ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য না পাওয়া ৪০ কার্ডধারী উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, টিসিবির পণ্য বিতরণের মাইকিং শুনে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদে যান কার্ডধারীরা। কিন্তু সেদিন তাদের জানানো হয় ২৬ সেপ্টেম্বর পণ্য দেওয়া হবে। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর গেলে আবার তাদের ২৭ সেপ্টেম্বর টিসিবির পণ্য বিতরণের কথা বলে বিদায় করা হয়।
চেয়ারম্যানের কথা মতো সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর টিসিবির পণ্য নিতে গেলে চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতা জানান সরকার সেপ্টেম্বরের পণ্য দেয়নি। পরে তারা ডিলারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করে টিসিবির পণ্য নিয়ে গেছে।
এরপর রোববার (১ অক্টোবর) টিসিবির পণ্য না পাওয়া ৪০ জন ভুক্তভোগী স্বাক্ষর করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তিনটি আলাদা অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জেসমিন প্রধানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে জিআর মামলা ৩৩২/২২ এর দণ্ডবিধির ৪৪৭/৪৪৮/৩৫৩/৩৩২ ধারায় বিজ্ঞ আদালত তার অপরাধ আমলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছেন। সেহেতু থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়।
এ বিষয়ে মো. আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। আর টিসিবির পণ্যেও সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
বদলী জনিত কারণে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ শুন্য থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/ইআ