Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনি অনিশ্চয়তাসহ দেশের অর্থনীতিতে ৪ ঝুঁকি দেখছে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৯

ঢাকা: নির্বাচনি অনিশ্চয়তাসহ ৪ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশ্বব্যাংকের এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৪টি প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো- আন্তর্জাতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা এবং নির্বাচনি অনিশ্চয়তা। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া ঝুঁকি হিসাবে বলা হয়, নির্বাচনি অর্থবছর হওয়া অনিশ্চয়তা রয়েছে, মুদ্রা বিনিময় হার, দেশি এবং আন্তর্জাতিকভাবে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিসহ বাজারে মূল্যস্ফীতির বিষয়েও। তবে সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৬ শতাংশ হতে পারে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। এসময় দিল্লি থেকে প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আপডেট’ও প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ .৩ শতাংশ, ভুটানের ৪ শতাংশ, নেপালের ৩.৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১.৭ শতাংশ।

২০১৬-২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র কমেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যের হার প্রতিবছর ১.৩ শতাংশ হারে কমেছে। চরম দারিদ্র্যের হার কমেছে ০.৬ শতাংশ। বাংলাদেশ শিশু-মৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, বিদ্যুৎ সুবিধা, স্যানিটেশন ও শিক্ষাসহ সুস্থতার অন্য বিষয়গুলিতে ভালো করেছে।

আরও বলা হয়, গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যের হার ২৯.১ শতাংশ থেকে ২০.৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া শহর এলাকায় ১৯.৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৪.৭ শতাংশ। দেশে নবায়ন ত্বরান্বিত হলেও ব্যাপক বৈষম্য বেড়েছে। উচ্চ নগরায়ণ বৈষম্যকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কম আমদানির ফলে রাজস্ব আদায়ও কম হচ্ছে। দুর্বল রাজস্ব আদায় ঘাটতি আনুমানিক ৫.৩ শতাংশ হয়েছে। বাণিজ্য সম্পর্কিত এবং আয়কর আদায় কম হচ্ছে। ঋণের সুদের হারের সীমাবদ্ধতার কারণে মুদ্রানীতির ট্রান্সমিশন ব্যাহত হচ্ছে, খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এসব সমস্যা সমাধানে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, সুদের হারের সীমা তুলে দিতে হবে। মুদ্রা বিনিময় হার এক করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় আমদানির উপর শুল্ক কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে তাদের ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি বহুমাত্রিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। সামাজিক অনেক ক্ষেত্রে উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে দারিদ্র হ্রাসে অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। গ্রামে কিছুটা বৈষম্য কমলেও শহরে বৈষম্য বেড়েছে। বাংলাদেশে অন্তভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে হবে।’ এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট বানার্ড হ্যাভেন, ইকোনমিস্ট নাজমুস সাদাত খান এবং যোগাযোগ বিভাগের প্রধান মেহেরিন এ মাহবুব।

সারাবাংলা/জেজে/এমও

অর্থনীতি নির্বাচনি অনিশ্চয়তা বিশ্বব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর