নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, দুই পুত্রবধূ-ছেলেসহ আটক ৪
৩ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২১
বরিশাল: বরিশালের গৌরনদীতে ঝুলন্ত অবস্থায় হেরোনা বেগম (৬৩) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের চরদিয়াসুর গ্রামে হায়দার আলীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী, ছেলে ও দুই পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত নারীর ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই তার বোনকে সৌদি প্রবাসী ভাগ্নের স্ত্রী রাখি বেগম, ছোট ভাগ্নে সুমন প্যাদা ও স্ত্রী তুলি বেগম শারীরিকভাবে নির্যাতন করেতেন। গত পাঁচদিন আগেও তাকে মারধর করে পুত্রবধূরা। সোমবার হেরোনার মেয়েরা তাকে দেখতে চরদিয়াসুর এলে পুত্রবধূরা তাকে ও তার মেয়েদের গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায় হেরোনার মেয়েরা। এ নিয়ে ওইদিন রাতে পুত্রবধূদের সঙ্গে হেরোনার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সীল পাটার পুতা দিয়ে আঘাত করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, `এ ঘটনার পরে হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি বাথরুমে মরদেহ গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাঁটু ভাজ করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে হেরেনা আত্মহত্যা করেছেন বলে আমার ভাগ্নে (নিহতের ছোট ছেলে) সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে। একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুত্রবধূ রাখি বেগম, তুলি বেগম, ছেলে সুমন প্যাদা ও স্বামী হায়দার আলী প্যাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।’
গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারমিন সুলতানা রাখী বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
সারাবাংলা/একে